প্রতীকী চিত্র
পুজোর দিনগুলোতে সময় আর নিয়ম কোনওটাই মানা হয়ে ওঠে না। পুজোর ক’টা দিন কাটে বাঁধনছাড়া হয়ে। এই কয়েক দিন রাতভর ঠাকুর দেখা, মণ্ডপে আড্ডা, ভুল সময়ে ভুল খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এসব তো একটু হয়েই যায়। কিন্তু নিয়ম ভেঙে মনে যতই আনন্দ হোক না কেন, শরীর কি আর এসব অনিয়ম মেনে নিতে পারে! এমনিতেই গ্যাস-অম্বল বাঙালির নিত্যসঙ্গী। তার উপরে পুজোর দিনগুলোর অনিয়ম, বাইরের ভাজাভুজি খাওয়ায় সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
নিয়মিত গ্যাস-অম্বলের জন্য মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে জেনে নিন গ্যাস-অম্বল সারানোর কিছু ঘরোয়া টোটকা।
তুলসীর বীজ: এক থেকে দু’চামচ তুলসীর বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে উঠলে বীজ-সহ সেই জল পান করলে উপকার মেলে।
এলাচ: এলাচ হজমশক্তি বাড়ায়। দুটো এলাচকে গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে খেলে বদহজমের উপশম হয়।
কলা: কলাকে এমনিতেই ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। কলায় থাকা পটাশিয়াম গ্যাস-অম্বল দূর করতে সাহায্য করে। সকালের জলখাবারে বা স্যালাড হিসেবেও তা খেতে পারেন।
জোয়ান: গ্যাস-অম্বলের অব্যর্থ ওষুধ জোয়ান। পাতিলেবুর রস ও বিটনুন মিশিয়ে শুকনো করে রাখা জোয়ান খাবার খাওয়ার শেষে হজমি হিসেবে খাওয়া যায়। এ ছাড়াও দু’চামচ জোয়ান সারা রাত জলে ভিজিয়ে সেই জল ছেঁকে ফুটিয়ে খেলে সুফল মিলবে।
মৌরি: হজমের জন্য মৌরি খুবই কাজ দেয়। অনেকে খাওয়ার শেষে মৌরি খেয়ে থাকেন। গ্যাস-অম্বলের উপশমে মৌরি ভেজানো জল বা মৌরি দেওয়া চা খুবই কাজের।
আদা: গ্যাস- অম্বল থেকে মুক্তি পেতে আদাও অনেক রকম ভাবে খাওয়া যায়। যেমন- জোয়ানের সঙ্গে আদা মিশিয়ে, আদা কুচির সঙ্গে বিট নুন দিয়ে, জোয়ান আর আদা কুচি রাতভর জলে ভিজিয়ে সেই জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেলে সুরাহা হয়।
জিরে: জিরে গ্যাস-অম্বল নিরাময়ে খুবই সাহায্য করে। শুকনো খোলায় জিরে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এক চামচ জিরে গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও হজমের সমস্যায় টক দইয়ের সঙ্গে জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।