ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান নিয়ে চতুর্দিকে নানা রকম নিয়ম কানুন রয়েছে। দ্বিতীয়ার পুণ্যলগ্নে দিদি বা বোনেরা উপোস করে থেকে ভাই বা দাদাদের জন্য এই ভাইফোঁটার আয়োজন করে থাকে।
ভাইফোঁটা পালনে দিদিরা ভাইদের জন্য তত্ত্ব সাজায় কাঁসার থালায়।
কী কী থাকে সেই থালায় সাজানো, এ ছাড়াও আর কী নিয়ম আছে ভাইফোঁটার– রইল সে সবের হালহদিশ।
ভাইফোঁটার উপকরণে সবার আগে চাই ভোরের শিশির। ভাইফোঁটার দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে, হেমন্তের সকালের প্রথম শিশির জোগাড় করে রাখতে হয়।
এর সঙ্গে লাগে চন্দন বাটা বা দই। কার্তিক মাসে দই দিয়ে ফোঁটা দেওয়া নিষিদ্ধ থাকে অনেক সময়ে। তাই চন্দন বাটাই শ্রেয়।
ভাই এবং বোনের জন্য দু’টি আসন মুখোমুখি রাখা দরকার।
কাঁসার থালায় গঙ্গাজল, শিশির, তুলো, ধান, দূর্বা, গঙ্গাজল, প্রদীপ, ধূপকাঠি, শঙ্খ, নারকেল, মিষ্টি, সাজাতে হয়।
ভাই বা দাদাকে ফোঁটা দেওয়ার সময়ে সামনে একটি প্লেটে পাঁচ রকম মিষ্টি এবং পাঁচ রকম ফল সাজিয়ে দেওয়া উচিত।
আর একটি প্লেটে লুচি তরকারি বা জলখাবারে যে ধরনের খাবার ভাই ভালবাসে, তা-ও সাজিয়ে রাখুন। পাশে একটি গ্লাসে জল রাখতে হবে। ।
স্নান সেরে শুদ্ধ পোশাকে পূর্ব দিকে মুখ করে, আসনে বসে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে হবে।
“ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা, যম দুয়ারে পড়ল কাঁটা”-- এই মন্ত্র উচ্চারণ করে ভাইফোঁটা দেওয়া হয়।
দিদিরা ফোঁটা দেবে বাঁ হাতের কনিষ্ঠা দিয়ে আর বোনেরা দেবে বাঁ হাতের অনামিকা দিয়ে।