প্রতীকী চিত্র
আলোর উৎসব দীপাবলি। আলো আর আতশবাজিতে সারা আকাশ বাতাস ঢেকে যায়। কলকাতা ছাড়াও ভারতের সব জায়গাতেই প্রায় দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। আতশবাজি দীপাবলির অন্যতম একটি উপাদান।
মোমবাতি বা টুনির আলোর থেকেও আতশবাজির আলোতে দীপাবলির উৎসব ঝলমল করে ওঠে। কিন্তু এই আতশবাজি যেমন আপনার বাড়ির পোষ্যর ভয়ের কারণ হতে পারে, ঠিক তেমনই আপনার সাধের বাগানের ক্ষতি করতে পারে।
বাতাসে পটকা বিস্ফোরণের পর, সেগুলি বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত করে, যা গাছপালা-সহ সমস্ত জীবের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এগ্রিকালচারের ড. জে পি এস দাবাস জানান, আতশবাজির উৎসবে মেতে ওঠর আগেই বাড়ির বাগান এবং গাছপালার স্বাস্থ্যের দিকটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আতশবাজি জল সরবরাহে ব্যঘাত ঘটায়। জল দূষিত হয়ে ওঠে। গাছে ফুল ফোটার জন্য যেমন বিশুদ্ধ জলের প্রয়োজন হয়, গাছ এবং ফুলে ও ফলের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয় দূষিত জল।
দীপাবলির সময় তাই বাগান রক্ষা করার জন্য পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন থেকে বিরত থাকা উচিত।
এসভিপি গ্রুপের সিইও সুনীল জিন্দাল জানান, ঘাসের বদলে ফুলের পাত্রে পটকা ফাটানো উচিত। যখন মাটিতে বা ঘাসে পটকা ফাটানো হচ্ছে, সেই পটকার দূষিত বাতাস এবং বারুদ অবশিষ্ট ঘাসের পাশাপাশি মাটিরও সাংঘাতিক ক্ষতি করছে। দীপাবলির পরের দিন বাগানের সমস্ত গাছে প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে রাখা উচিত।
প্রথমত, বাগানে আতশবাজি পোড়ানো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ বারুদের রাসায়নিক মাটির ক্ষতি করে। এর পরিবর্তে একটি খোলা মাঠ বা ফাঁকা রাস্তায় আতশবাজি পোড়ানো উচিত।
এক বালতি জল পাশে রাখা উচিত যাতে সমস্ত পুড়ে যাওয়া পটকা বালতিতে ফেলে দেওয়া হয়। ঘাসে পড়ে থাকলে সেই শুকিয়ে যাওয়া পটকা বা পুড়ে যাওয়া পটকা থেকেও ঘাসের ক্ষতি হয়।
সম্ভব হলে বাগানের মাঝখানে সিমেন্টের একটি ছোট প্যাচ তৈরি করে তার ওপর পটকা জ্বালানো উচিত। এতে রাসায়নিক ঘাসে পৌঁছবে না এবং বাতাস ও গাছপালার ক্ষতি করবে না।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।