পুজোর মাত্র ২ সপ্তাহ বাকি। যাঁরা এখনও ভাবছেন, সারা বছর প্রায় কিছুই করা হল না, কিন্তু এ বার কিছু একটা না করলেই নয় কারণ সামনে পুজো, তাঁদের জন্য রইল কিছু সমাধান। স্বাস্থ্য সুন্দর রাখতে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। জল বেশি করে খান।
সকালে উঠে এক গ্লাস জলের সঙ্গে এক চিমটে ‘হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট’ মিশিয়ে জল খান। এটি জলের মধ্যে এক চুম্বক হিসাবে কাজ করে যা আমাদের কোষে জল পৌঁছে দিয়ে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ডাবের জল অর্ধেক পাতিলেবু মিশিয়েও খেতে পারেন। এগুলি শরীরকে যেমন ভিতর থেকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে, ঠিক সেরকমই হাইড্রেটও রাখে।
এবার বাহ্যিক রূপের যত্ন কী ভাবে নেবেন? কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। যেমন মুসুর ডাল, বেসন, কস্তুরি হলুদ, কেশর, দুধের সর, চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপের পাপড়ি এক সঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন একটি মিশ্রণ। প্রতিদিন মুখে এবং সারা শরীরে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন এবং তার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে একটা আলাদা জেল্লা আসবে।
আবার, অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কর্পূর তেল এবং লবঙ্গ তেল মিশিয়ে তাতে ১ চামচ সাদা চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে একটি প্যাক বানাতে পারেন। যাঁদের ব্রণ-র্যাশের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই প্যাকটি লাগালে চটজলদি মুক্তি পাবেন।
মুখে ব্ল্যাক হেড বা হোয়াইট হেডের সমস্যা থাকলে ওটের গুঁড়ো, এক চামচ শসার রস এবং ২ ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে মুখে ঘষলেই মৃত কোষ দূর হবে।
চুলের যত্নে এই সময়ে ঘরোয়া একটা তেল বানিয়ে লাগালে উপকার পাবেন। নারকেল তেল, মেথি, কালো জিরে, কারি পাতা, গোটা ধনে, ছাচি পেয়াঁজ এবং আমলকি এক সঙ্গে ফুটিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগাতে হবে। এতে চুলের জেল্লা বাড়বে এবং খুশকি, চুল পড়াও দূর হবে। যারা এত ঝক্কি নিতে চাইছেন না, তাঁরা আশেপাশের কোনও কসমেটোলজি ক্লিনিকে যেতেই পারেন, যেখানে কোনও বিশেষজ্ঞ আপনার সঠিক চিকিৎসা করবেন।