ঘাড়ে বা কাঁধে ব্যথার সমস্যা
এখন দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করে। ফলে কাঁধে ব্যথার ভুক্তভোগী মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সারা দিন এক ভাবে বসে কাজ করে হাড়ে, পেশিতে যন্ত্রণা খুবই স্বাভাবিক। আর ঘাড়ে বা কাঁধে ব্যথার সমস্যা এক বার শুরু হলে জীবন কঠিন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিও আসে, যখন যন্ত্রণার চোটে সাধারণ কাজকর্মও করা যায় না। অথচ একটু সচেতন থাকলে কিন্তু এই ভোগান্তি সূত্রপাতের সময়েই সারিয়ে ফেলা যায়। কিন্তু আমরা কেউই তা করি না। ফলে সমস্যাও নিত্যদিন বাড়তেই থাকে। তবে কাঁধে ব্যথার ক্ষেত্রে শুধু পেনকিলারের উপরে ভরসা না রেখে ঘরোয়া কিছু উপায়ে রেহাই পেতে পারেন।
চুন-হলুদ- এই ধরনের ব্যথা কমাতে চুন-হলুদ একটি অতি প্রাচীন পদ্ধতি। চুন-হলুদ গরম করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সেই মিশ্রণটি আপনার ব্যথা জায়গায় লাগান। ব্যথা কমানোর অব্যর্থ ওষুধ এটি।
ম্যাসাজ থেরাপি- অনেক সময়ে ঠিক মতো ম্যাসাজ করালেও কাঁধের ব্যথা অনেকটা কমে। তবে মনে রাখবেন ম্যাসাজ কিন্তু পেশাদার লোককে দিয়েই করাতে হবে। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বরফ সেঁক- এই ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে বরফ সেঁক দারুণ কার্যকরী হতে পারে। দেখা গিয়েছে যে, পেশি ও জয়েন্ট- দুই ব্যথার ক্ষেত্রেই কাজ করে বরফ। কয়েক টুকরো বরফ একটা তোয়ালেতে নিন। তার পরে ২০ মিনিট ধরে ব্যথার জায়গায় চেপে চেপে লাগান। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
গরম সেঁক- বরফ নতুন ব্যথায় কাজে লাগে। পুরনো ব্যথার ক্ষেত্রে আদর্শ হল গরম সেঁক। ব্যথা ও জয়েন্টের কাঠিন্য আটকে দিতে পারে গরম সেঁক। এ ক্ষেত্রে কাপড় গরম করে সেঁক দিতে পারেন বা চাইলে গরম জল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যথার জায়গায় রক্ত চলাচল বাড়তে পারে। তাতে যন্ত্রণাও কমবে খানিক।
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও যদি ব্যথা না কমে, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষত হ্যাঁচকা লাগা থেকে চোট কখনও এড়িয়ে যাবেন না। ঠিকমতো যত্ন না নিলে পরবর্তী কালে এই চোট কিন্তু বড় ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।