কোভিডের মরসুমে ক্র্যাশ ডায়েটিং নয়। ছবি: শাটারস্টক।
প্রতি বছর পুজোর আগেই ওজন কমানোর হিড়িক পড়ে৷ দেখতে ভাল লাগার পাশাপাশি পছন্দসই জামা-কাপড় ভাল করে ফিট করাটাই এর প্রধান কারণ৷ এ বারও তাই৷ তবে এ বছর উপরি পাওনা আছে৷ কোভিডের অন্যতম সমস্যা হল বাড়তি ওজন৷ কাজেই সেটুকু কমিয়ে ফেলতে পারলে কোভিড হলেও রোগের জটিলতার আশঙ্কা কমবে৷ তা ছাড়া যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, সুগার-কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা আছে, তাঁরা যদি অতিরিক্ত ওজনের ৫ শতাংশও স্বাস্থ্যকর উপায়ে কমিয়ে ফেলতে পারেন, এ সব রোগের প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে কমবে কোভিডের জটিলতার আশঙ্কাও৷ অতএব এক-দেড় মাসে ৪-৫ কেজি ওজন কমাতে পারলে বজায় থাকবে সব দিক৷
কিন্তু প্রশ্ন হল, ক্র্যাশ ডায়েটিং ছাড়া এত কম দিনে কি ৪-৫ কেজি ওজন কমানো সম্ভব? কোভিডের মরসুমে ক্র্যাশ ডায়েটিং তো করা যাবে না৷ বেশি ব্যায়াম করলেও বিপদ৷ তা হলে? আসুন দেখা যাক বিশেষজ্ঞেরা কী বলছেন৷
পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা মিশ্র বলছেন, “দেড় মাসে ৪-৫ কেজি কমানো এমন কোনও বড় টার্গেট নয়৷ নিয়ম মেনে ডায়েটিং ও একটু হাঁটাচলা বাড়ালে, ঘরের সব কাজ নিজে হাতে করলে খুব ভাল ভাবেই কমানো সম্ভব৷ তার উপর যদি ব্যায়াম করতে পারেন, তা হলে তো কথাই নেই৷ ভাবছেন খিদে পাবে কি না? পাবে না৷ বুঝেশুনে খেলে এখন যা খাচ্ছেন, তার চেয়ে ১০০০ ক্যালোরিও যদি কম খান, খিদে পাবে না৷ ডায়েটিং করতে পারবেন বেশ পেটপুরে খেয়েই৷”
আরও পড়ুন: ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রেডিয়োতে না শুনলে মহালয়ার আসল আমেজই পাওয়া যাবে না
ডায়েটিং করুন পেটপুরে খেয়ে
কম খেয়ে ডায়েটিং করার কথা ভুলে যান৷ কারণ, কম খেলে খিদে পাবে সর্ব ক্ষণ৷ খিদে চেপে রাখলে এক দিকে যেমন মন খাই খাই করবে, তাতে অনেক সময় ভুলভাল খেয়েও নেবেন। অন্যদিকে খিদে পেটে ঘুম আসবে না, মেজাজ খিটখিট করবে, ক্লান্ত লাগবে, অপুষ্টি হবে৷ সবে মিলে ওজন যদিও বা দু-এক কেজি কমেও, চেহারায় পড়বে ক্লান্তির ছাপ। ফিটনেসে ঘাটতি হবে৷ অপুষ্টি ও অনিদ্রার ফলে কমতে পারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও। যা এই মুহূর্তে খুবই বিপজ্জনক৷ অতএব ও পথে না হেঁটে খাবারে কিছু পরিবর্তন আনুন৷ ভাজা, মিষ্টি ও অন্যান্য হাই ক্যালোরি খাবার ও মিষ্টি পানীয়ের পরিবর্তে খান ফাইবারসমৃদ্ধ পুষ্টিকর ঘরোয়া খাবার৷ খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার থাকলে কম খাবারেই পেট ভরে যাবে ও বেশি ক্ষণ ভরে থাকবে৷ তার সঙ্গে মাপ মতো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও উপকারি ফ্যাট খেলে তৃপ্তি যেমন হবে, পুষ্টিও হবে তেমন৷ সবে মিলে ওজন কমবে পেটপুরে খেয়েও৷
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকলে কম খাবারেই পেট ভরে যাবে।
কোন খাবার কী ভাবে খাবেন, কোনটার পরিবর্তে কোনটা খাবেন, তার গাইডলাইন দিয়েছেন পুষ্টিবিদ সুজাতা মুখোপাধ্যায়৷ আসুন দেখে নেওয়া যাক৷
কোন খাবারের বদলে কোনটা
রাতারাতি খাবারের রুটিন বদলে ফেলার কোনও দরকার নেই৷ এখন যে ভাবে যা খাচ্ছেন, তার মধ্যে থেকেই একটু কাটছাট করে নিন৷ যেমন—
আরও পড়ুন: লেবু জল, গ্রিন টি আর অঞ্জলি, মাতিয়ে দিন পুজো
আরও পড়ুন: পুজোর সময় ত্বক খসখসে? কী কী মেনে চলতে হবে
অপুষ্টি ও অনিদ্রার ফলে কমতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। ছবি: শাটারস্টক।