ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন এই ফিচারগুলি আছে কিনা
আমাদের কর্মক্ষেত্রে আমরা ল্যাপটপের উপর অতি নির্ভর হয়ে পড়েছি। বাড়িতে ফিরেও শান্তি নেই! অফিসের বাকি কাজ অথবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে ল্যাপটপের সামনে।
পুরনো ল্যাপটপ সমস্যা করছে? আপনার প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তবেই কিনুন নতুন ল্যাপটপ। ল্যাপটপের প্রয়োজন ও ব্যবহার ব্যক্তিভেদে পৃথক হয়। তাই কোন কোন ফিচারগুলি সত্যিই আপনার কাজে আসবে টাকা খরচের আগে তার সুলুকসন্ধান করে নিন ।
ল্যাপটপ মানেই অনেক খরচ, এই ধারণা রাখা ভুল। মোটামুটি ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু ল্যাপটপে আপনি সাধারণ ওয়েব ব্রাউজিং থেকে টুকটাক এডিটিং অবধি করতে পারবেন। অবশ্যই এই দামের ল্যাপটপ চোখের পলকে আপনার সব কাজ করবে না, তাই বাজেট বেশি থাকলে বেছে নিতেই পারেন আরও ভাল ফিচার যুক্ত ল্যাপটপ। দেরি না করে এখনই নজর রাখুন ই-কমার্স সাইটগুলিতে। পুজোর আগে একাধিক অফার সমেত সহজ এক্সচেঞ্জ অফারও পেয়ে যাবেন।
ডিজাইন: ডিটাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ কিনবেন না চিরাচরিত ডিজাইনের? তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। অফিসের কাজে বাইরে অনেকটা সময় কাটাতে হলে ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ বেশি কার্যকরী হবে। এতে ল্যাপটপ নিমেষে বদলে যাবে ট্যাবলেটে। ফলে সহজেই তা হাতে করে ঘুরতে পারবেন। তবে সারা ক্ষণ অফিসের ডেস্কে বা পড়ার টেবলে বসে কাটালে নন-ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ কেনাই ভাল।
স্ক্রিন সাইজ: নিজের কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ বেছে নিন। ল্যাপটপ নিয়ে ট্র্যাভেল করতে হলে ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চির স্ক্রিন যুক্ত ল্যাপটপ কিনুন। তবে অফিসের মধ্যেই আপনার কাজ মিটে গেলে বাছতে পারেন একটু বড়সড় ১৫.৬ ইঞ্চির ল্যাপটপ।
পোর্ট: আজকালকার ল্যাপটপে পোর্টের জায়গা কমে গিয়েছে। এতে জুড়েছে ইউএসবি, এইচডিএমআই এবং কার্ড রিডার স্লট। সামান্য খরচ করে কিনতে পারেন আল্ট্রা থিন ল্যাপটপ, যাতে রয়েছে ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। এতে সব ধরনের জ্যাক লাগিয়ে কাজ করা যাবে। ফলে ল্যাপটপ কেনার আগে বেছে নিন নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোর্ট।
টাচস্ক্রিন: মোবাইলের মতোই ল্যাপটপেও টাচস্ক্রিনের সুবিধা রয়েছে। উইনডোজ ১০-এ এমন অনেক অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলি কেবলমাত্র টাচস্ক্রিন ল্যাপটপের কথা ভেবেই বানানো হয়েছে। দামের কথা মাথায় রেখে তবেই এ রকম ল্যাপটপ কিনুন। কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এই ধরনের ল্যাপটপ না কেনাই ভাল।
হার্ড ড্রাইভ: প্রায় প্রতি দিনই বাজারে নতুন মডেলের ল্যাপটপ আসছে। আর হার্ড ড্রাইভের সাইজ ক্রমশই বাড়ছে। তবে এ ধরনের ল্যাপটপ বেশ ভারী হয়। তাই কিনতে পারেন ফ্ল্যাশ ড্রাইভ (এসএসডি)-সহ ল্যাপটপ। দ্রুতগতি ছাড়াও এ ধরনের ল্যাপটপ বেশ হাল্কা হয়। তবে এ রকম ল্যাপটপের দামও বেশি সে কথা খেয়াল রাখবেন।
ব্যাটারি: ল্যাপটপে কত ক্ষণ কাজ করবেন তা মাথায় রাখুন কেনার আগে। এক বার চার্জ দিয়েই ৫-৬ ঘণ্টা কাজ চালাতে পারেন এমন ল্যাপটপ দামে কম। তবে সারা ক্ষণ ল্যাপটপে বসে কাজ করতে হলে একটু বেশি খরচ করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে এক চার্জেই ৮-১০ ঘণ্টা একনাগাড়ে কাজ করা যাবে।
গ্রাফিক্স কার্ড: লেখালেখি বা সাধারণ মাল্টিমিডিয়ার কাজ করার হলে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করুন। আর ভিডিও গেম খেলা বা এডিটিং-এর মতো কাজ থাকলে ইন্টারনাল ছাড়াও একটি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কাড-সহ ল্যাপটপ কিনুন।