পুজোয় চিকিৎসা বন্ধ থাকে না। বেশ কয়েক জন চিকিৎসক ডিউটিতে থাকেন, হাসপাতাল, নার্সিং হোমও চালু থাকে। তবু অন্যান্য সময়ের মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা দেওয়া সম্ভব হয় না, কারণ অনেক চিকিৎসকই আমার-আপনার মতোই পুজোয় বেড়াতে যান। অন্তত দু’–একবেলা যে তাঁর ফোনও বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু তা বলে যে রোগ ছেড়ে কথা বলবে এমন তো নয়!
আর কিছু না হোক পড়ে গিয়ে আছাড় খেতে পারেন৷ ভুলভাল খেয়ে পেটের রোগ হতে পারে৷ ভুলভাল খাওয়া ও জীবনযাপনের ফলে নিরীহ ক্রনিক রোগগুলিও বার করতে পারে তাদের লুকনো দাঁত–নখ৷ তখন নিজের সমস্যা নিজেকেই সামলাতে হবে৷ অন্তত দু’–এক দিনের মতো৷ কাজেই কী ভাবে কী করতে হবে তা বুঝে নিন৷
তবে ভারী কোনও অসুখ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু হালকা কিছু সমস্যা চাইলে নিজেই সামাল দিতে পারেন। তেমনই কিছু বিকল্পের কথা জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।
আরও পড়ুন : পুজোয় খাওয়াদাওয়ায় প্রচুর অনিয়ম? মেদ জমবেই না এ সব মানলে
আরও পড়ুন : চুল পড়ার কারণগুলো জানলেই তা রুখে দেওয়া যায়, পুজোর আগেই মেটান এই সমস্যা
কখন কী করবেন
রক্তচাপ কমে মাথা ঝিমঝিম করলে নুন–চিনির শরবত খান৷ সুগার বেশি থাকলে শুধু নুন–জল৷ অনিয়মে রক্তচাপ খুব বেড়ে গেলে ৪০ মিগ্রা ফ্রুসেমাইড৷ তবে চিকিৎসকের সঙ্গে এখনই এক বার পরামর্শ করে নিন ফ্রুসেমাইডের বিষয়ে।
গাউটের ব্যথা বাড়লে বরফ সেঁক দিন৷ নিয়মিত যে ওষুধ খান তা বন্ধ করে আইবুপ্রফেন, ইন্ডোমিথাসিন বা ন্যাপ্রক্সেন খাওয়া যাবে কি না তা জেনে রাখুন এখন থেকেই।
সুগার কমেছে বুঝতে পারলে নুন–চিনির শরবত, গ্লুকোজ বা মিষ্টি, লজেন্স বা কোল্ড ড্রিঙ্ক খান৷ গ্লুকোমিটারে যদি দেখেন সুগার বেড়েছে, ভাত–রুটি–আলু–চিড়ে খাওয়া কমিয়ে বিশ্রামে থাকুন৷ প্রথম সুযোগেই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন৷
মাইগ্রেনের ব্যথায় ভরা পেটে বা অম্বলের ওষুধ খেয়ে এনসেড জাতীয় ওষুধ খান৷ ওষুধ খেতে না চাইলে ঘরের আলো নিভিয়ে, হালকা কোনও গান শুনতে শুনতে বন্ধ করে ঘুমনোর চেষ্টা করুন।
দাঁতে ব্যথা হলে নুন–গরম জলে কুলকুচি করুন৷ তুলোয় সামান্য লবঙ্গ তেল নিয়ে ব্যথার দাঁতে লাগিয়ে দিন৷
রক্তচাপ কমে মাথা ঝিমঝিম করলে নুন–চিনির শরবত খান৷ সুগার বেশি থাকলে শুধু নুন–জল৷ অনিয়মে রক্তচাপ খুব বেড়ে গেলে ৪০ মিগ্রা ফ্রুসেমাইড৷ তবে চিকিৎসকের সঙ্গে এখনই এক বার পরামর্শ করে নিন ফ্রুসেমাইডের বিষয়ে।
গাউটের ব্যথা বাড়লে বরফ সেঁক দিন৷ নিয়মিত যে ওষুধ খান তা বন্ধ করে আইবুপ্রফেন, ইন্ডোমিথাসিন বা ন্যাপ্রক্সেন খাওয়া যাবে কি না তা জেনে রাখুন এখন থেকেই।
সুগার কমেছে বুঝতে পারলে নুন–চিনির শরবত, গ্লুকোজ বা মিষ্টি, লজেন্স বা কোল্ড ড্রিঙ্ক খান৷ গ্লুকোমিটারে যদি দেখেন সুগার বেড়েছে, ভাত–রুটি–আলু–চিড়ে খাওয়া কমিয়ে বিশ্রামে থাকুন৷ প্রথম সুযোগেই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন৷
মাইগ্রেনের ব্যথায় ভরা পেটে বা অম্বলের ওষুধ খেয়ে এনসেড জাতীয় ওষুধ খান৷ ওষুধ খেতে না চাইলে ঘরের আলো নিভিয়ে, হালকা কোনও গান শুনতে শুনতে বন্ধ করে ঘুমনোর চেষ্টা করুন।
দাঁতে ব্যথা হলে নুন–গরম জলে কুলকুচি করুন৷ তুলোয় সামান্য লবঙ্গ তেল নিয়ে ব্যথার দাঁতে লাগিয়ে দিন৷
কান ব্যথায় গরম সেঁক দিন৷ না কমলে ১ গ্রাম প্যারাসিটামল খান৷
সিওপিডি বা হাঁপানির রোগে ইনহেলার নিয়ম করে নিন৷
গ্যাস–অম্বলে ৪–৬ চামচ অ্যান্টাসিড খান৷ না কমলে খান আরেক বার৷ প্রচুর জল খান সঙ্গে।
বদহজম হয়ে বমি হলে প্রথম দু’–একবার হতে দিন৷ তার পরও না কমলে অ্যান্টি ভোমেটিক প্রচলিত কিছু ওষুধ খান। তবে সঙ্গে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সচেতন হোন।
প্রতি বার লুজ মোশনের পর বড় এক গ্লাস নুন–চিনির শরবত খান৷ কাঁচা জল খাওয়ার চেয়ে ওআরএস খান। এক দিনের মধ্যে কষ্ট কমতে শুরু না করলে ওষুধ খেতে হবে।
ইউরিনে জ্বালা হলে প্রচুর জল খান৷ ৩–৪ বার অ্যালকালি মিক্সচার খান জলে মিশিয়ে৷
অ্যালার্জি, হাঁচি বা নাক দিয়ে জল পড়লে ভেপার নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলে অ্যান্টি অ্যালার্জির কিছু ওষুধ মজুত রাখুন হাতের কাছে।
কাশি হলে নুন মিশিয়ে গরম জলে গার্গল করুন৷ গরম জলের ভাপ নিন৷ না কমলে, শুকনো কাশির জন্য কিছু বিশেষ সিরাপও খেতে পারেন। তবে এই সিরাপ বাচার বিষয়টি চিকিৎসকের উপরেই ছাড়ুন। বাড়িতে বাসক পাতা, তুলসী, আদা দিয়ে তৈরি ক্বাথও খেতে পারেন। সঙ্গে জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল খান।
পা মচকালে ব্যথার মলম লাগিয়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখুন৷ পা রাখুন বালিশ বা টুলের উপর৷ প্যারাসিটামল খেতে পারেন দু’–একটা৷
ঘাড় বা কোমর ব্যথা হলে ব্যথার মলম লাগিয়ে গরম সেঁক দিন৷
কেটে গেলে উষ্ণ জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে সোডিয়াম ফিউসিডেট জাতীয় মলম লাগান৷
পুড়ে গেলে জায়গাটা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত জল ঢালতে থাকুন৷ পরিষ্কার কাপড়ে আলতো হাতে মুছে পভিডন আয়োডিন জাতীয় দ্রবণ বা মলম লাগিয়ে পাটভাঙা কাপড় চাপা দিন৷
বাড়াবাড়ি হলে কাছাকাছি যে হাসপাতালে চিকিৎসক পাবেন, সেখানে ভর্তি হোন৷ পরে প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে যাবেন৷
কান ব্যথায় গরম সেঁক দিন৷ না কমলে ১ গ্রাম প্যারাসিটামল খান৷
সিওপিডি বা হাঁপানির রোগে ইনহেলার নিয়ম করে নিন৷
গ্যাস–অম্বলে ৪–৬ চামচ অ্যান্টাসিড খান৷ না কমলে খান আরেক বার৷ প্রচুর জল খান সঙ্গে।
বদহজম হয়ে বমি হলে প্রথম দু’–একবার হতে দিন৷ তার পরও না কমলে অ্যান্টি ভোমেটিক প্রচলিত কিছু ওষুধ খান। তবে সঙ্গে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সচেতন হোন।
প্রতি বার লুজ মোশনের পর বড় এক গ্লাস নুন–চিনির শরবত খান৷ কাঁচা জল খাওয়ার চেয়ে ওআরএস খান। এক দিনের মধ্যে কষ্ট কমতে শুরু না করলে ওষুধ খেতে হবে।
ইউরিনে জ্বালা হলে প্রচুর জল খান৷ ৩–৪ বার অ্যালকালি মিক্সচার খান জলে মিশিয়ে৷
অ্যালার্জি, হাঁচি বা নাক দিয়ে জল পড়লে ভেপার নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলে অ্যান্টি অ্যালার্জির কিছু ওষুধ মজুত রাখুন হাতের কাছে।
কাশি হলে নুন মিশিয়ে গরম জলে গার্গল করুন৷ গরম জলের ভাপ নিন৷ না কমলে, শুকনো কাশির জন্য কিছু বিশেষ সিরাপও খেতে পারেন। তবে এই সিরাপ বাচার বিষয়টি চিকিৎসকের উপরেই ছাড়ুন। বাড়িতে বাসক পাতা, তুলসী, আদা দিয়ে তৈরি ক্বাথও খেতে পারেন। সঙ্গে জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল খান।
পা মচকালে ব্যথার মলম লাগিয়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখুন৷ পা রাখুন বালিশ বা টুলের উপর৷ প্যারাসিটামল খেতে পারেন দু’–একটা৷
ঘাড় বা কোমর ব্যথা হলে ব্যথার মলম লাগিয়ে গরম সেঁক দিন৷
কেটে গেলে উষ্ণ জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে সোডিয়াম ফিউসিডেট জাতীয় মলম লাগান৷
পুড়ে গেলে জায়গাটা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত জল ঢালতে থাকুন৷ পরিষ্কার কাপড়ে আলতো হাতে মুছে পভিডন আয়োডিন জাতীয় দ্রবণ বা মলম লাগিয়ে পাটভাঙা কাপড় চাপা দিন৷
বাড়াবাড়ি হলে কাছাকাছি যে হাসপাতালে চিকিৎসক পাবেন, সেখানে ভর্তি হোন৷ পরে প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে যাবেন৷