কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে মা লক্ষ্মীকে সাদরে বরণ করে ঘরে আনা হয়। ঘরে ঘরে তাঁর আবাহনে আঁকা হয় মায়ের পায়ের ছাপ, আয়োজন হয় হরেক রকম ভোগ-প্রসাদের। কিন্তু জানেন কি, মা লক্ষ্মীর ভোগে কোন কোন খাবার অবশ্যই রাখা উচিত?
মায়ের ভোগে অবশ্যই রাখুন নাড়ু। নারকেল নাড়ু থেকে তিলের নাড়ু থাকা আবশ্যিক।
খই এবং গুড় দিয়ে বানানো খইয়ের মোয়া রাখুন ভোগে।
বাঙালি এবং লুচি একে অপরের পরিপূরক। মা লক্ষ্মীর ভোগেও কিন্তু লুচি থাকা চাই-ই চাই!
শুধু লুচি দিলে হবে না। সঙ্গে অবশ্যই সুজির হালুয়া রাখতে হবে।
বাঙালির যে কোনও পুজোতেই ভোগ হিসাবে খিচুড়ি রাঁধা হয়। লক্ষ্মীপুজোতেও তার অন্যথা হবে না।
খিচুড়ি থাকবে আর লাবড়া থাকবে না, তা-ও কি হয়? এই পুজোয় তাই বিভিন্ন সবজি সহযোগে লাবড়া রাখতেই হবে।
খিচুড়ি ভোগে বেগুন ভাজা থেকে পটল ভাজা, পাঁচ রকম ভাজাও থাকা চাই।
বাঙালির যে কোনও অনুষ্ঠানেই পায়েসকে শুভ বলে মনে করা হয়। তাই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ভোগে রাখুন পায়েস।
শুধু খিচুড়ি-লাবড়া নয়, মিষ্টি থাকাও জরুরি। রসগোল্লা হোক বা সন্দেশ, ভোগের থালায় অবশ্যই থাক মিষ্টান্ন।
শশা, কলা, নারকেল, আঙুর, শাঁকালুর মতো বিভিন্ন ফল সহযোগে মায়ের ভোগ নিবেদন করতে হয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।