বাঙালির বিরিয়ানি প্রীতি চিরন্তন। নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের আমলে শুরু হয়েছিল কলকাত্তাইয়া বিরিয়ানির যাত্রা। বাঙালি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, বিরিয়ানি দেখলেই জিভের জল আটকানো বড়ই মুশকিল। তবে বিরিয়ানির ক্ষেত্রে বাঙালির নাকটা বেশ উঁচু। বিরিয়ানি মানেই, সে মনে করে আলু আর ডিমটা চাই-ই চাই। হায়দরাবাদ, লখনউয়ের বিরিয়ানি বাঙালির ঠিক পছন্দ না। কারণ আলুর অভাব।
কলকাতায় এখন মুঘল খাবারের হাজারটা ঠিকানা। তবুও আমিনিয়া নামটাই যথেষ্ট।অজস্র রেস্তরাঁ বাঙালির রসনাতৃপ্তি করে চলেছে এই মুঘল খাবার নানা পদ পরিবেশন করে। ‘আমিনিয়া-র’ কথা তো কারও অজানা নয়। ৯১ বছর ধরে বাঙালির বিরিয়ানি প্রীতি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিতে এই রেস্তরাঁর অবদান কম নয়।
শুধু বিরিয়ানি নয়, পসিন্দা কাবাব, চিকেন রেজালা মানেই আমিনিয়া। ভারতের স্বাধীনতার আগে থেকেই ভোজনরসিকদের মন ভোলাচ্ছে এই রেস্তরাঁ। সম্প্রতি তপসিয়াতে এই রেস্তরাঁর ১০ নম্বর শাখাটি খুলে গেল। এটা ডেলিভারি এবং টেক অ্যাওয়ে জয়েন্ট। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ‘টেক অ্যাওয়ে’ ভোজনরসিকদের সবচেয়ে পছন্দ।
তপসিয়া ছাড়াও গোলপার্ক, ব্যারাকপুর, সোদপুর, শ্রীরামপুর, বেহালা, হাতিবাগান, যশোর রোড ও চিনার পার্কে রয়েছে এই রেস্তরাঁর শাখা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎসবের মরসুমে নতুন কম্বো নিয়ে হাজির হয়েছে আমিনিয়া। ফ্যামিলি চিকেন মিল, চিকেন বিরিয়ানি মিল, বাজেট কাবাব কম্বো-সহ আরও কত কী। তবে সবমিলিয়ে খরচ ২৫০টাকা থেকে ৬০০টাকা।
আরও পড়ুন: নিউটাউনের এই আস্তানায় নিভৃতে কোরিয়ান ফ্রায়েড চিকেন
লখনউয়ের ‘অওধি’ খানা কলকাতাবাসীর প্লেটে তুলে ধরাই নয়, আমিনিয়ার পদের মধ্যে খাঁটি নবাবি খানার স্বাদ-গন্ধও অটুট। প্রতি দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্তরাঁর সব কটি শাখা।
এ বার উৎসবের মরসুম খানিকটা অন্যরকম। তাই সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করেই রান্না করা হচ্ছে। পরিবেশনও করা হচ্ছে। রেস্তরাঁয় প্রবেশের আগেই হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া, থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মেপে নেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। সবরকম সুরক্ষাই মেনে চলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সনাতনী আহারেই বাহার, মেটে মটরশুঁটি মরিচ বানান এ ভাবে
তাহলে আর দেরি কীসের, মনটা নবাবি খানার জন্য আনচান করলেই বাড়ির পাশের যে কোনও শাখায় হাজির হয়ে যান। এ ছাড়াও অ্যাপের মাধ্যমেও অর্ডার করতে পারেন। আমিনিয়ার হেঁসেলে রান্না শুরু হয়ে গিয়েছে কোন সকালে!