কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে তো লুচি-আলুর দম কিংবা খিচুড়ি ভোগ খেতেই অভ্যস্ত আমি-আপনি সবাই। আসুন না, আজ পুজোর পর মেনু একটু অন্য স্বাদের হয়ে যাক!
পোলাও, একটু মিষ্টি মিষ্টি। সঙ্গে কষা কষা আলুর দম! জমে যাবে। নিরামিষ অমন আলুর দমটা আনিয়ে নিন। পোলাওটা বানিয়ে নিন।
পোলাও বলতে যে হলুদ-ভাত সাধারণত বোঝায়, এটার রন্ধন প্রণালী তার চেয়ে একদম আলাদা!
উপকরণ:
(৩-৪ জনের মতো)
সরু লম্বা চালের গন্ধ চাল- বড় চায়ের কাপের দু'কাপ।
চিনি - ছোট সাইজের বাটির দেড় বাটি।
জল - একই সাইজের বাটির ১ বাটি।
ছোট এলাচ - চিনির চামচের ২ চামচ।
খাঁটি গাওয়া ঘি - চায়ের চামচের ৬-৭ চামচ।
ময়দা - চায়ের চামচের ৩ চামচ।
বেকিং পাউডার - চায়ের চামচের চার ভাগের এক ভাগ।
গুঁড়ো দুধ - চিনির চামচের ২ চামচ।
সাদা তেল - চায়ের কাপের অর্ধেক।
কাজুবাদাম - চিনির চামচের ৪ চামচ।
দারচিনি - ২টি মাঝারি সাইজের কাঠি।
গরম মশলা - চায়ের কাপের অর্ধেক।
লবঙ্গ - দেড় টেবিল চামচ।
স্টার অ্যানিস (যার চলতি নাম তারকা মশলা, এটি থাকলে ভাল, না থাকলেও চলবে) - চায়ের কাপের আধ কাপ।
নুন - আন্দাজ মতো। তবে একদম সামান্য।
রন্ধন প্রণালী:
১. প্রথমে বাসমতী চালটা ধুয়ে ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন একটি বাটিতে।
২. এর পর ছোট সাইজের বাটির দেড় বাটি চিনি ও একই সাইজের বাটির এক বাটি জল নিয়ে উনুনের অল্প আঁচে সামান্য সময় গরম করে চিনির রসে বানান। তার পর তার ভিতর ছোট এলাচ হামান দিস্তায় থেঁতো করে দিয়ে দিন।
৩. মিষ্টি পোলাও তৈরির আসল রসদ হল খাঁটি গাওয়া ঘি। সে রকম উঁচু মানের ঘি ৪ চামচ একটি বাটিতে নিয়ে তার ভিতর দিন ২ চামচ ময়দা, ১ চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং পাউডার ও ৫০ গ্রাম বা ২ চামচ গুঁড়ো দুধ দিন। সব খুব ভাল করে মিশিয়ে তাতে অল্প অল্প জল দিয়ে আটা মাখার মতো মেখে নিন।
৪. এ বার ওই মাখাটার থেকে ছোট ছোট করে নাড়ুর মতো বানিয়ে একটা শুকনো থালায় রাখুন।
৫. তার পর ওই 'নাড়ু'গুলিকে উনুনে কড়াই বসিয়ে তাতে সাদা তেল গরম করে ভেজে নিন, লাল-লাল করে।
৬. এর পর ওই ভাজা বলগুলি গরম চিনির রসে চুবিয়ে দিন।
৭. এ বার ডেকচিতে পরিমাপ মতো অল্প জল নিয়ে উনুনে গরম করে তার ভেতর আগে তৈরি রাখা চাল দিয়ে ভাত রান্না করুন। চাল একটু ফুটলেই ডেকচি নামিয়ে নিন। তবেই ভাত ঝরঝরে হবে।
৮. তার পরে উনুনের আঁচে একটা প্যানে ২ চামচ ঘি দিয়ে তাতে কাজুবাদাম ফেলে ভেজে নিন। একটু ভাজা-ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে দারচিনি, গোটা গরম মশলা, লবঙ্গ, ছোট এলাচ, স্টার অ্যানিস দিয়ে রান্না করে ওই মিশ্রণটা আগে থেকে রান্না করা ভাতের মধ্যে মিশিয়ে দিন।
৯. এবার ওর ভেতর অতীব সামান্য নুন দিন এবং বাকি ঘি থেকে ১ চামচ ও গরম মশলা মেশান।
১০. এর পর ওর মধ্যে আগে রান্না করা রসে চোবানো ভাজা নাড়ুগুলি মেশাতে হবে। তবে সাবধানে, যাতে নাড়ুর চাল ভেঙে না যায়।
১১. সব শেষে বাকি খাঁটি গাওয়া ঘি সামান্য ছড়িয়ে দিন ভাতের ওপর।
১২. এবং পুরো রান্নাটা ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। আপনার মিষ্টি পোলাও তৈরি। ঢাকনা খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন। সঙ্গে কষা কষা আলুর দম!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।