পোস্ত চিকেন
বাঙালির পোস্তর প্রতি ভালবাসা চিরকালের। নিরামিষ হোক কিংবা আমিষ, বাঙালির বহু সুস্বাদু পদেই মিশে আছে পোস্ত। আলুপোস্ত, পটলপোস্ত, চিংড়িপোস্ত— কী নেই সেই তালিকায়! পোস্ত দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে করতে বাঙালি মাছের সঙ্গে মাংসেও মিশিয়েছে পোস্তর দানা।
চিকেন কষা, কাবাব কিংবা কোর্মা প্রায় সকলেই খেয়েছেন। কিন্তু চেখে দেখেছেন কি পোস্ত চিকেন? বাঙালির ট্র্যাডিশনাল খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম এই পদ। উৎসবের মরসুমে এক দিন ঘরে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পদ। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন পোস্ত চিকেন। উপকরণ ও রান্নার পদ্ধতিতেই রয়েছে নানা চমক।
পোস্ত থাকায় ভাত বা সাদা পোলাওয়ের সঙ্গেই খান এই পদ। চিকেনের টুকরোও মাঝারি বা ছোট রাখুন। অনেকে বোনলেস টুকরোয় এই রান্না করেন। খেতে আরও ভাল হয় তাতে।
আরও পড়ুন: পুজোর স্বাদে ভিয়েন থেকে ফিউশন
আরও পড়ুন: ৬ বালিগঞ্জ প্লেসের মাছের রেসিপি ফাঁস! শেফের কায়দায় বাড়িতেই হবে ভোজ
প্রণালী :
প্রথমে ছোট টুকরো করে কাটা মুরগির মাংস কিনে ভাল ভাবে ধুয়ে নিন। এর পর পাত্রে মাংস নিয়ে তাতে পাতিলেবুর রস , রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, সর্ষের তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। এ বার মাংসের পাত্রটা ঢেকে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। জলে ভেজানো পোস্ত ও কাজু বাদাম একসঙ্গে বেটে পেস্ট তৈরি করে রাখুন।
ম্যারিনেশন হয়ে গেলে কড়ায় তেল গরম করুন। একে একে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও মৌরি ফোড়ন দিন। তাতে কুচনো পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ বাদামি হওয়া অবধি ভাজতে থাকুন। এর পর কড়ায় কুচনো টম্যাটো দিন। এ বার পোস্ত ও কাজু বাদামের পেস্ট, লঙ্কার গুঁড়ো ও গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে পুরোটা ভাল ভাবে কষতে থাকুন। মশলা থেকে তেল বেরতে শুরু করলে তাতে ম্যারিনেট করা মুরগির মাংস দিন। কিছু ক্ষণ নেড়ে তাতে স্বাদ মতো নুন দিন। প্রয়োজনে হাফ কাপ জল দিতে পারেন। এ বার কড়া ঢাকনা দিয়ে মুরগির মাংসটা সেদ্ধ হতে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা সরিয়ে রাখুন। কম আঁচে আর কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে মাংসটা পছন্দ মতো পাত্রে নামিয়ে নিন। ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন পোস্ত চিকেন।
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস