প্রতীকী চিত্র
বাঙালির মনে একটি ধারণা গাঁথা রয়েছে– পুজো মানেই শাড়ি! কিন্তু শাড়ি পরতে কি সকলেই ভালোবাসেন? ব্যস্ততার মধ্যে সবার কি শাড়ি পরা হয়? রোদ, ঘাম, ভিড়– সব মিলিয়ে শাড়ি সামলাতে নাজেহালও হন অনেকেই। পুজোর দিনগুলোয় শাড়ি ছাড়াও নিজেকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা যায় অন্য নানা পোশাকে। যা আপনাকে কোনও অংশে কম মোহময়ী করে তুলবে না। পোশাক দেশি হোক বা ভিনদেশি, ঠিকমতো সেজে উঠতে পারলে সবেতেই নজর কাড়া যায়।
যেমন, চুড়িদার বা সালোয়ার কামিজ। বাঙালি তথা ভারতীয় মেয়েদের কাছে আরও এক জনপ্রিয় সাবেক সাজ। ফ্যাশনের হাত ধরে এই পোশাকের ধরন বদলেছে বহু বার। কামিজ কখনও আজানুলম্বিত, কখনও হাঁটু ছাড়ানো, কখনও বা গোড়ালি ছোঁয়া। পাল্টেছে হাতার দৈর্ঘ্য। ওড়নার ব্যবহারেও এসেছে রকমফের। এ বার পুজোয় শাড়ির বদলে বিভিন্ন রং এবং আরামদায়ক কাপড়ের চুড়িদারও হতে পারে আপনার পছন্দের সাজ। পুজোর রাতে জমকালো চুড়িদারেই হয়ে উঠুন অনন্যা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই মেয়েদের ওয়াড্রোবে জায়গা করে নিয়েছে আর একটি পোশাক - ড্রেস। হাঁটুঝুল, গোড়ালি ছোঁয়া বা ছাড়ানো– নানা দৈর্ঘ্যে, নানা ডিজাইনে নজরকাড়া ড্রেসে মন মজেছে বাঙালি কন্যেদের। তারকা থেকে আমজনতা, বাদ নেই কেউই। হরেক রং, সুতোর কাজ, নানা ফ্যাব্রিকে তৈরি এই ড্রেস উৎসবে হয়ে উঠতেই পারে শাড়ির বিকল্প।
লেহঙ্গা বা ঘাগরা বাংলায় পা রেখেছিল উত্তর ভারত থেকে। সৌন্দর্য, রং, উপাদান সবকিছুতেই সে উজ্জ্বল, জমকালো। এই পোশাকে রয়েছে এক আলাদা আভিজাত্য। যে কোনও উৎসবেই যা আপনার সাজে এনে দেবে অন্য মাত্রা। পুজোর ভিড়ে তাতেই হয়ে উঠতে পারেন শো স্টপার।
এ ছাড়াও আছে লং স্কার্ট, টপ, কুর্তি, ধুতি ড্রেস, জিন্স-টপ, শার্ট, ক্রপ শার্ট। পশ্চিমি পোশাকেও নিজেকে মুড়ে ফেলতে পারেন পুজোর দিনগুলোয়। সাবেক সাজের বাইরেও না হয় হেঁটে দেখলেন দু’পা!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।