শারদ সাজের সম্ভার নিয়ে হাজির রেশম শিল্পী
দেশ জুড়ে পুজোর মরসুম। রোজনামচা কর্মজীবনের ব্যস্ততার মধ্যে পুজোর কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি অনেকেরই। অগত্যা ভরসা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার উপরেই। কিন্তু কী কিনবেন? কোন শাড়িতে নজরকাড়া হয়ে উঠবেন? সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারছেন না?
এই সমস্যার সমাধান দিতেই শারদ সাজের সম্ভার নিয়ে হাজির রেশম শিল্পী। এক ঝলকে দেখে নিন রেশম শিল্পীর অভিনব চোখ ধাঁধানো কালেকশনস।
শিবোরী শাড়ি: রেশম শিল্পীর সুক্ষ্য কাজের “নুই শিবোরী ” তসর সিল্ক শাড়ি গুলি তৈরি করা হয় উন্নত মানের তসর সিল্কের কাপড়ের উপর, এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে নুই শিবোরী নামক এক জাপানি পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়।
এক্ষেত্রে রং করার আগে কাপড়ের কিছু অংশে সেলাইয়ের কাজ করা হয় যাতে ওই অংশ গুলি রং করার সময় রং প্রতিরোধ করতে পারে তারপর পুরো কাপড়টি রং করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ তৈরি হয় অত্যাধুনিক নকশার উৎকৃষ্ট শিবোরী শাড়ি। কখনো কখনো এই শাড়ি গুলিকে আরো অত্যাধুনিক বানানোর জন্য এইগুলির উপর এমব্রয়ডারির কাজ ও করা হয়ে থাকে। শিল্পীর হাতে তৈরি অভিনব নকশার নৈপুণ্যে প্রতিটি শিবোরী শাড়ি হয়ে ওঠে অনন্য ও সাবেকিয়ানায় পরিপূর্ণ।
শারদ সাজের সম্ভার নিয়ে হাজির রেশম শিল্পী
আজরাখ প্রিন্ট ও বাঁধনির কাজ করা মালবেরী সিল্ক শাড়ি: 'আজরাক' যাহা আজরাখ নামেও পরিচিত, মূলত ব্লক প্রিন্টের এক অনন্য রূপ যা সাধারণত পাকিস্তানের সিন্ধ এবং ভারতের কচ্ছ জেলার আজরাখপুরে দেখতে পাওয়া যায়। এটি ব্লক প্রিন্টিং ব্যবহার করে তৈরি করা বিশেষ নকশার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বাঁধনি শাড়ি: প্রাচীন টাই ও ডাই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। বাঁধনি শাড়ি আজও পশ্চিম ভারতে খুব প্রচলিত। বাঁধনি শাড়ি কাপড়ের উপর ছোট ছোট গিঁট বেঁধে বিভিন্ন রঙে রঙিন করার একটি পদ্ধতি যার ফলে সুন্দর ও আধুনিক মানের নকশা তৈরি হয়। এই নকশা গুলিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য ধৈর্য ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। শারদ সাজে নিজেকে অভিনব রূপ দিতে পারেন রেশম শিল্পীর আজরাখ প্রিন্ট ও বাঁধনির কাজ মালবেরি শাড়ির বিপুল সম্ভারে।
শারদ সাজের সম্ভার নিয়ে হাজির রেশম শিল্পী
হাতে বোনা নকশার সিল্ক ও তসর শাড়ি: কাপড়ের উপর বোনা নকশার কাজ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের তাঁত ব্যবহার করে করা হয়। বর্তমানে বেশিরভাগ নকশাই যন্ত্রচালিত বা কম্পিউটার নির্ভর জাকার্ড তাঁত দ্বারা তৈরি হয়।
বুননের প্রেক্ষাপটে নকশাগুলি তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের সুতা ব্যবহার করা হয়। এক্ষত্রে সুতাগুলির আকার, গঠন ও রঙের ব্যবহারের তারতম্যের উপর দিয়ে অত্যাধুনিক নকশা তৈরি করা হয়।
রেশম শিল্পী কিছু আধুনিক নকশা তৈরি করেছে যা তাঁতিদের অভিনব বুননের কারুকার্য দ্বারা এক অনন্য রূপ ধারণ করেছে। রেশম শিল্পীর এই অভিনব নকশায় বোনা সিল্ক ও তসর শাড়ি পুজোতে আপনাকে করে তুলবে মধ্যমণি।
তা হলে আর দেরি কেন? এই পুজোয় রেশম শিল্পীর সঙ্গে সেজে উঠুন অনন্য সাজে। হয়ে উঠুন অপরূপা।