পাঁচ দিন রান্নাবান্না বাদ দেওয়া নৈব নৈব চ? উৎসব এলেই হাতের জাদুতে খাওয়ার টেবিল জমিয়ে দিতে মন আনচান? তাঁদের জন্যই জি বাংলা ‘রান্নাঘর’-এর রকমারি আয়োজন জিভে জল আনা রেসিপির।
খাই খাই কর কেন? এস বস আহারে! ৫ দিনে ১০ পদ আছে ‘রান্নাঘর’-এ। মাছ না মাংস? নাকি খাঁটি নিরামিষ? কোনটা খাবেন সেটা ঠিক করে নিন সবার আগে। কারণ, পাঁচদিনের পাঁচটি শো-এ ১০ রকমের রান্না দেখাচ্ছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
নামগুলো যেমন গালভারি, খেতেও জবরদস্ত। পঞ্চমীতে শিখেছেন বেগুনের চুনোপুঁটি আর তপসের তেলঝাল। ষষ্ঠী মানেই নিরামিষ। পাতে পড়ল কী? কুমড়ো ছানার ছক্কা আর ফুলকপির ডাব মালাই।
সপ্তমী তবে নিবেদিত থাক মাছ, মাংসের যুগলবন্দিতে? ধোঁয়া ওঠা চামরমণি চালের ভাত। আর তার সঙ্গে যদি সঙ্গত দেয় গরমাগরম পমফ্রেট কাসুন্দি, মুরগির নবরত্ন? জমে যাবে ঠিক!
অষ্টমীতে ভাত না লুচি? বরং আমিষ আর নিরামিষের সহবাস ঘটুক রাতে। সৌজন্যে দই পাবদা, মোচার বড়ার ডালনা। নবমীর দিন একটু রেস্ট নিন বরং। একটা দিন বাইরের খাবার দাঁতে না কাটলে মান থাকে নাকি?
দশমী মানেই একরাশ বিষণ্ণতা। এ বছর তো গোটা পুজোটাই অন্য রকম। মাকে বিদায় জানিয়ে বিজয়ার মিষ্টিমুখ। ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’র মতোই আপনার হাতের অস্ত্র হোক তন্দুরি ইলিশ আর কালাকাঁদের পায়েস।
মায়ের দশ হাত আর আপনার দুই, সব হাত এক যোগে তৃপ্ত করুক বাঙালি রসনা। করোনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে! মেনু যা ঠিক হল, জব্বর কিন্তু! তথ্য সহায়তাঃ উপালী মুখোপাধ্যায়