এ বার পুজো অন্য চোখে দেখছেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য এক্সক্লুসিভ শ্যুটে তিনি বললেন, “বেটার অপশন হল গাড়ি করে মেয়ে, বৌকে নিয়ে টুক করে ঠাকুর দেখে নেওয়া। একটু সন্ধে সন্ধে হবে, চারপাশ ঝলমলিয়ে উঠবে নানা রঙের আলোয়। আর গাড়িতে আমরা তিন জন। ব্যস!”
“করোনাসুর কেমন জব্দ! নো রিস্ক। নো ভিড়-ভাট্টা। নো ঠ্যালাঠেলি,”- বলছিলেন অর্জুন। পারলে প্রত্যেক দিনই এ ভাবে ঠাকুর দেখার প্ল্যান আছে তাঁর।
পুজো শুধু প্যান্ডেল, ঠাকুর বা আলোর সাজ তো নয়। পুরো আবহ নিয়ে বাঙালির শারদীয়া। গাড়িতে বসেই ‘চোখ ক্যামেরা’য় সেই আমেজ ধরে নিতে চান অর্জুন
স্টাইলিস্ট পৌলমী গুপ্তর কথায় বেজ রঙা কুর্তা পাজামা আর ফুশিয়া অ্যাসিমেট্রিক জহর কোর্ট পরতে পরতে অর্জুন বললেন, “ওয়্যার্ড্রোবে আমার একটু ভারী রং আর কাজের বেশ কিছু পাঞ্জাবি আছে। লোকে তাই দেখে বলে, অর্জুন প্রচণ্ড ফ্যাশানিস্ত। আমি আদৌ সেটা নই।”
তবে যে ইনস্টাগ্রামে জমকালো পোশাকে দেখা যায়? “সেগুলো পুরোটাই ফ্যাশন শুটের জন্য। ওগুলো পরে আমি স্বচ্ছন্দ নই। তবে পাঞ্জাবি পরতে ভালবাসি। এক কালার বা সলিড কালার, ভারী কাজের নয়।”
শ্যুট ছাড়া ওয়েস্টার্ন পোশাকেই অভ্যস্ত তিনি। জানালেন, ছেলেবেলায় একেবারেই এথনিক পোশাক গায়ে তুলতেন না। এখন উৎসব মানেই সনাতনী সাজ। কাজের দিলে টি-শার্ট, জগার্স অবশ্যই। তবে পুজোয় সাজবেন সংস্কৃতি মেনে।
“তা বলে ধুতি পাঞ্জাবি নয় কিন্তু! এখনও ধুতি সামলাতে পারি না। শেষে কিছু একটা কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। পাঞ্জাবি তালিকায় আছে। তবে পাজামা বা চোস্তের সঙ্গে।”
সম্প্রতি রবীন্দ্রসঙ্গীত 'মাঝে মাঝে তব'-র সুরে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় প্রেমের গল্প বুনেছেন অর্জুন-দর্শনা। কলকাতা থেকে কিছু দূরে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো বাওয়ালি রাজবাড়ি। সেখানেই হয়েছে মিউজিক ভিডিয়োর শ্যুটিং।
‘লাভ আজ কাল পরশু’ ছবিতে অর্জুন চক্রবর্তী এবং মধুমিতা সরকারকে বোল্ড লুকে রোম্যান্স করতে দেখে চমকেছিলেন অনেকেই। দর্শকরা অবশ্য বেশ পছন্দই করেছিলেন এই জুটিকে।
এ বার আর একটি নতুন রহস্য ওয়েব সিরিজ নিয়ে পর্দায় আসতে চলেছেন অর্জুন-মধুমিতা। ছবির নাম ‘দেবদাস ও একটি খুনের গল্প'। ছবিটিতে অভিনয় করবেন রাইমা সেন-ও। পুজোর পরেই শুরু হবে শুট। পোশাক: দীপক ও মধু; জুতো: রোহন অরোরা; হেয়ার এবং মেকআপ: অভিজিৎ পাল; স্টাইলিং: পৌলমী গুপ্ত।