পুজো মানেই দু’জনের কাছে সুখের গৃহকোণ। একেবারে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ যাকে বলে! বাড়িতে বসেই বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে সময় কাটে দু’জনেই। দেব ও রুক্মিণী। টলিউডের ব্যস্ততম জুটি তাঁরা। আপাতত দু’জন দু’জনের ‘পাসওয়ার্ড’ সামলাচ্ছেন।
দেব-রুক্মিণীর নিজস্ব পাসওয়ার্ডের কথাই ভাগ করে নিলেন ‘আনন্দবাজার ডিজিটাল’-এর সঙ্গে। তাঁদের নতুন ছবি ‘পাসওয়ার্ড’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে। দেবের কথায়, ‘‘পুজোয় 'পাসওয়ার্ড' নিয়েই থাকব। প্রমোশন, দর্শকের কাছে যেন ঠিকঠাক পৌঁছনোই হবে মূল লক্ষ্য।’’
আর রুক্মিণী? তাঁর মুখেও পাসওয়ার্ডের কথাই। জানালেন, ‘‘আমার পুজোর প্রথম প্ল্যান 'পাসওয়ার্ড'। পরিবারের সঙ্গে 'পাসওয়ার্ড' দেখব।’’ সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি নিয়ে দু’জনেই বেশ উত্তেজিত।
দেবের মতে, সাইবার ক্রাইমের উপর তৈরি এই ছবি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনা, তাই দর্শকদের ভাল লাগবে বলেই তাঁর আশা। দর্শকের চাহিদাতেই মূলত কলকাতার ২১ পল্লির পুজো মণ্ডপে পাসওয়ার্ড ছবির পোস্টার প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
তবে পুজোর সময় মোটেও স্রেফ কাজ নিয়ে ভাবতে রাজি নন দেব-রুক্মিণী। সারা বছর কাজের চাপের মাঝে অপেক্ষা করে থাকেন এই লম্বা ছুটিটুকুকর জন্যই। তাই অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিয়েই দু’জনেই পাড়ি দিচ্ছেন দিল্লি। কিন্তু কোথায় চললেন?
দেব রহস্য করে বলছিলেন বটে, ‘‘এক জনকে কথা দেওয়া আছে, তার জন্মদিনে যাবই।’’— তবে সেই ‘এক জনের’ রহস্য ফাঁস করলেন রুক্মিণী। জানালেন, ‘‘আমার দাদার মেয়ের পাঁচ বছরের জন্মদিনের প্ল্যান করতে হবে অনেক! দেবের ও নেমন্তন্ন আছে।’’
রুক্মিণী দিল্লি যাওয়া নিয়ে খুবই উত্তেজিত। জানালেন, ‘‘আমার কাছে সম্পর্কগুলো সব কিছুর আগে। তাই পুজোতে কোনও কাজ নয়। সারা বছর কাজের মধ্যে থাকি বন্ধুদের সঙ্গে দেখাই হয় না। পুজোতে ওরা আমার বাড়িতে সেজেগুজে চলে আসে।’’
কিন্তু নিজে সাজেন না মোটেও। সারা বছর যেহেতু সাজতেই হয়, তাই পুজোর সময়টা খুব একটা সাজতে চান না তিনি। তবে মা তাঁর জন্য পুজোর কেনাকাটা করেন। অষ্টমীর দিন পাটভাঙা শাড়ি পরে অঞ্জলি দিতে যান তিনি।
দেবও সাজগোজ নিয়ে খুব যে ভাবেন এমন নয়। কিছু ডিজাইনার পোশাক দু’জনেই পরবেন। তবে বাইরে ভিড়ভাট্টা পছন্দ নয় কারও। তার চেয়ে বাড়িতে বসে আড্ডা আর খাওয়াদাওয়াতেই আস্থা রাখেন দু’জনে।
কিন্তু ডায়েট? আমিষের উপরেই থাকি। নানা রকমের খাওয়াদাওয়া চলে। পুজোর ভোগও আমার খুব প্রিয়। এই ভোগের গন্ধই আলাদা। খিচুড়ি, পাঁচমিশেলি তরকারি, লম্বা বেগুন ভাজা— আহা! খাওয়ার কথায় সায় রুক্মিণীরও।
দু’জনেই সাফ জানালেন, লুচি-মাংস দু’জনেরই প্রিয়। পুজোয় ডায়েটে স্রেফ ‘না’। আর পুজোর সময় স্পেশাল পাওনা হল চরণামৃত! সঙ্গে বাড়িতে প্রচুর মিষ্টি আসে। আর দেব সেই সব মিষ্টি ডায়েট ভুলে চলতে-ফিরতে খেতেই থাকেন।
কিন্তু একান্তে সময়? এই বিষয়ে স্পিকটি নট দু’জনেই। আলাদা করে পরিকল্পনাটা ভাঙতে চাইলেন না কিছুতেই। শুধু জানালেন, দু’জনেই এই পুজোয় দু’জনের গোপন পাসওয়ার্ড!