সৌমিতৃষা কুণ্ডু
দিদাকে হারানো পুজোর উত্তেজনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর। এখন শারদীয়া মানে শুধুই বাড়িতে, পরিবারকে সময় দেওয়া। ছোটবেলার সেই হইচই তাঁর পুজোকে ঘিরে থাকে না আর। চার দিনের ছুটিতে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা, কেনাকাটাও থাকে না। বরং স্মৃতিচারণেই কেটে যায় পর্দার ‘মিঠাই’-এর পুজো। এ বছর কাটবে একই ভাবে।
অভিনেত্রী জানান, ছোটবেলার পুজো কেটেছে দেদার মজায়। পড়াশোনা থেকে ওই চার দিন পুরো ছুটি। পুজোর দিনগুলো অন্য রকম পোশাক পরার অনুমতিও মিলে যেত। আর তার হাত ধরে বন্ধুদের তাক লাগিয়ে দেওয়ার মধ্যে একটা মজা ছিল। পরিবারের সঙ্গে হইহুল্লোড়, ঠাকুর দেখার সেই আমেজকে এখনও ফিরে ফিরে দেখেন সৌমিতৃষা। শাড়িতে সেজে ওঠা, অষ্টমীতে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতায় পুরস্কার, বিসর্জনের দিন জমিয়ে নাচ- সে সব দিনগুলো এখনও যে বড্ড টাটকা!
ইদানীং আর আগের মতো ঠাকুর দেখতে যাওয়া হয় না। তবে পরিবারের সঙ্গে খেতে যাওয়া, বেড়াতে যাওয়ার মধ্যেই কখন পুজোর ছুটি শেষ!
আর পুজোর প্রেম? হাসির ঝিলিকে সৌমিতৃষা বললেন, “প্রেমটা করব কখন, মা বাবা যে ভাবে আগলে রাখতেন সারাক্ষণ…!” চোখে চোখে যতই কথা হোক, তা আর প্রেম অবধি গড়ায়নি কোনও দিনই। পুজোয় প্রেম না হওয়ার আফসোস তাই এখনও ফুটে ওঠে সকলের আদরের ‘মিঠাই’য়ের গলায়।
আর যদি মা দুর্গার কাছে চেয়ে নিতে পারতেন তিনটি বর?
প্রথম, তাঁর পরিবারের সকলে যেন সুস্থ শরীরে দীর্ঘজীবী হন।
দ্বিতীয়, নিজের মা কে সৌমিতৃষা উপহার দিতে চান একটি বাগানবাড়ি। সেই স্বপ্ন যেন সত্যি হয়।
আর তৃতীয়? সৌমিতৃষা চান, মিঠাই যেন তাঁর সাফল্যের প্রথম ধাপ হয়ে ওঠে এবং একের পর এক ধাপে তিনি যেন আরও অনেক সাফল্য পান, ভবিষ্যতের কাজে দেখাতে পারেন কৃতিত্ব। জনপ্রিয়তা ও দর্শকদের ভালবাসার শীর্ষে উঠে তিনি নিজের ভবিষ্যৎ সাজিয়ে নিতে চান।