Durga Puja 2022

বড়বেলার নিভৃতের পুজো নাকি ক্যাপ বন্দুক ফাটানোর শৈশব- কোনটা বেশি কাছের? অকপট জানালেন সোহম

পুজোর ঠিক পরেই থাকত হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষা। তাতে কী? ঢাকের বাদ্যি কানে আসতেই পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সোহম মেতে উঠতেন পাড়ার পুজোর উদ্দীপনায়।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৪৪
Share:

অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী

ছোটবেলায় পুজোর মজাটাই আলাদা! তা নতুন জামা কাপড় ঘিরে উত্তেজনা হোক কিংবা ক্যাপ বন্দুক ফাটানোর নির্ভেজাল আনন্দ। এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম নন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীও। ছোটবেলার পুজো বলতেই তাঁর কাছে নতুন জামাকাপড়ের আনন্দকেও ছাপিয়ে যায় ক্যাপ বন্দুক কেনার মজা।

Advertisement

পুজোর ঠিক পরেই থাকত হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষা। তাতে কী? ঢাকের বাদ্যি কানে আসতেই পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সোহম মেতে উঠতেন পাড়ার পুজোর উদ্দীপনায়। তাতে ভল্যান্টিয়ার হওয়ার আনন্দ ছেড়ে কলকাতার নামীদামি পুজোর দিকেও মন যেত না তাঁর। ঢাকের শব্দে, পুজোর গন্ধে ঘুম ভাঙার টানে কোনও দিনই কলকাতা ছেড়ে বাইরে কোথাও পুজো কাটানো হয়নি।

তবে এখন আর তাঁর পুজোর উন্মাদনায় অত পরিকল্পনা থাকে না। ষষ্ঠী অবধি কাজেই ডুবে থাকা সকলের প্রিয় অভিনেতা নিজের পুজো কাটান বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেদার আড্ডায়। ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখা তাঁর একেবারেই না-পসন্দ। তাই পরিচিত কিছু মণ্ডপ ছাড়া বাকি সময়টা কাটে নিভৃতে।

Advertisement

বড়বেলার একান্তের উৎসব ভাল, নাকি ছোটবেলার হুল্লোড়? কোনও রকম তুলনা টানতে নারাজ সোহম। ছোটবেলার বেপরোয়া উচ্ছ্বাসই হোক কি এখনকার ব্যস্ততা থেকে ক্ষণিকের ফুরসত, সবটাই তাঁর কাছে সমান কাছের ও পছন্দের।

তা হলে বাঙালির চিরকালীন পুজোর প্রেম? তার কী হল? হাল্কা হেসে সোহমের জবাব, “তেমন সৌভাগ্য হয়নি আমার কোনও দিন।“ দুর্গাপুজোর সময় প্রেম নিয়ে বরাবরই উদাসীন ছিলেন অভিনেতা। বদলে হইচই আর আনন্দেই কেটে যেত উৎসব। তাই বিশেষ ভাললাগা, আলতো প্রেমের স্মৃতিও নেই পুজো ঘিরে।

মা দুর্গার কাছে যদি চেয়ে নেওয়া যায় তিন বর, কী চাইবেন সবার আগে?

অকপটে সোহমের দাবি- প্রথমত, পৃথিবী থেকে দারিদ্র্য মিটে যাক, দেশে ও বিদেশে আসুক সমৃদ্ধি। দ্বিতীয়ত, মানুষের বিবেক ও চেতনায় সহমর্মিতা ফিরে আসুক, নির্মম ব্যবহার ঘুচে যাক মন থেকে। এই প্রসঙ্গে রীতিমতো সরব জনপ্রিয় অভিনেতা, তাঁর বক্তব্যে ক্ষোভ বেরিয়ে এল সেই মানুষদের প্রতি, যাঁরা অবলা পশুদের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার করেন, দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজোর সময় কুকুরের লেজে পটকা বেঁধে ক্রুর আনন্দ নিতে চান। সোহম চাইবেন তাঁদের চেতনার বিকাশ ঘটুক। আর সবশেষে চেয়ে নেবেন নিজের অথবা পরিবারের জন্যই নয়, আশপাশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যমতো তাঁদের সাহায্যের ক্ষমতা।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement