দেদার আড্ডা আর তার মাঝেই একে অপরকে আগলে রেখে শুরু হল গৌরব ও ঋদ্ধিমার পুজোযাপন। শুধু মনের মিল নয়, পুজোর জমাটি আমেজ ফুটে উঠল তাঁদের তাল-মিল রাখা সাজ-পোশাকেও।
পুরো পুজোতেই কাজের চাপে ভীষণ ব্যস্ত দু’জন। তবে অষ্টমীতে জোড়ায় শাড়ি পাঞ্জাবিতে সেজে অঞ্জলী দেওয়া চাই-ই চাই।
অষ্টমীতে ঋদ্ধিমার পছন্দ টকটকে লাল রঙের শাড়ি, সঙ্গে অন্য রকম সাজতে চিরাচরিত ব্লাউজের বদলে পরেছেন লাল ব্রা-লেট। হালকা মেকআপ, আর রুপোলি অক্সিডাইজের গয়নায় সাজ হয়েছে আরও মোহময়ী।
গৌরবের অষ্টমীর সাবেক সাজের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সাদা পাজামা, লাল পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল সাদা জমকালো কাজের কোট অন্য মাত্রা যোগ করেছে তাঁর সাজে।
ভোরের অঞ্জলীর পরে বাড়ির বৈঠকখানায় বসে আড্ডার মেজাজে গৌরব।
স্নিগ্ধ সাজে গৌরবের খুনসুটিতে ঋদ্ধিমার প্রাণ খুলে হাসি ।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই নাগরাই পরে গৌরব একদম তৈরি পুজো পরিক্রমার জন্য।
গৌরবের ডাকে ভাবনায় ঋদ্ধিমা, এক্ষুনি ঠাকুর দেখতে বেরোতে হবে যে!
নবমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডার পরিকল্পনা। নবমী নিশিতে তাই দুজনের বাছাই ম্যাচিং করে কালো রঙের শাড়ি ও পাঞ্জাবি।
ঋদ্ধিমা বেছে নিয়েছেন কালো বেলুন স্লিভের ক্রপ টপ ও কালো স্বচ্ছ শাড়ীর সঙ্গে কালো করসেট বেল্ট। সাজের ছটায় তাক লাগিয়ে দিতে তিনি পরেছেন সাদা পাথর বসানো ছিমছাম গয়নার সেট।
গৌরবের নবমীর পছন্দ আর ও জমকালো, নজরকাড়া। সিকুইন ও সুতোর কাজ করা জমকালো জ্যাকেটের নিচে কালো পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামার সঙ্গত।
হঠাৎ পুজো শেষের কথা মনে পড়তেই চোখে দুঃখ ঋদ্ধিমার।
পরক্ষনেই গৌরবের মজার কথায় ঋদ্ধিমার একরাশ হাসি ছড়িয়ে পড়ে ঘরের প্রতিটি কোণে।
ঋদ্ধিমার হাসির রেশ ছুঁয়ে ফেলে তাঁকেও। পুজোর আয়োজন হয়ে ওঠে ঝলমলে।
পুজোর রেশে নবমীর রাত হয়ে ওঠে আরও কাছের, আবেগঘন।
দশমীর সময়টুকু বড়ই মনখারাপের, তারই মধ্যে দুজনের ইচ্ছে স্মৃতির পাতা উল্টে পুরোনো অ্যালবাম খুঁজে দেখার। সাবেক ঘরোয়া লাল পাড় সাদা শাড়ি ও হালকা গয়নায় লাবন্যময়ী ঋদ্ধিমা। গৌরবও ঘরোয়া আবেশে হলুদ পাঞ্জাবীতে সেজে উঠেছেন।
ছোট বেলার মিষ্টি ছবির দিকে তাকিয়ে বেলা কেটে যায় গৌরব ও ঋদ্ধিমার। হাসির রোলে ভরে ওঠে তাঁদের ঘর-দালান। গৃহকোণের খুনসুটিতে পুজোর রেশ ভেসে আসে চারপাশে।