Durga Puja 2019 Ananda Utsav 2019 Durga Puja Celebrations Tollywood Puja Celebration Celebrity Durga Puja Celebration

পুজোতে খুব আশা করি নতুন প্রেম হবে: ঊষসী

নতুন প্রেম ছাড়া জীবন ভীষণ আলুনি, নন এক্সাইটিং, বোরিং, ডিসপ্যাশনেট।

Advertisement

ঊষসী চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:১১
Share:

পুজো বলতে আমার বেড়াতে যাওয়াই মনে আসে। কারণ ছোট থেকে আমরা সবসময় পুজোতে বেড়াতে গেছি। আমার সমস্ত বেড়ানোর স্মৃতি পুজোতে। সেই কারণেই পুজোর কলকাতা আমাকে টানে না। ছোটবেলায় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সবাই মিলে ঘুরতে যেতাম। তখন তো মধ্যবিত্ত পরিবারে ইওরোপ যাওয়ার খুব একটা চল ছিল না। অর্থনৈতিক ব্যাপারটাও ছিল। আর এখন তো পুজোতে আমাকে কেউ জামাকাপড়ও দেয় না। ছোটবেলায় অনেক পেতাম। এখন নতুন জামা পরতে গেলে নিজেকেই কিনতে হয়। সেটা একটা স্যাড ব্যাপার। বড় হয়ে গেলে পুজো আর মজার থাকে না। সো আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু গ্রো আপ। বাট সাম টাইমস আই হ্যাভ টু।

Advertisement

আমার পুজোর প্ল্যান খুবই সঙ্গিন, কোনও প্ল্যানই নেই। প্রথমত ষষ্ঠী, সপ্তমী অব্দি কাজ থাকবে, ইভেন্টস থাকবে। সেগুলো তো করতেই হয়। আর আমাদের কথা ছিল যে সপ্তমীর দিন আমরা আয়ারল্যান্ড যাব। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। যার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তার একটু প্রবলেম হওয়ায় যাওয়া ক্যানসেল। সে জন্য দুখি আত্মা হয়ে আছি। এমনিতে আমি কলকাতা ভালবাসি। কিন্তু পুজোর সময় কোথাও যাওয়া যায় না। জ্যাম, ভিড়। সে জন্য ভাল্লাগে না তখন। কাজেই ওই সময় কলকাতা ছাড়াটাই আমার মেন প্রায়োরিটি থাকে। সেটা যখন হলই না তখন যে ক’দিন ছুটি পাব বাড়িতে ঘুমোব, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব। সিরিয়াল করছি (‘শ্রীময়ী’) বলে দেখা করার সময় হয় না। আর একটা ফিকশন লিখছি, প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। সেটার কাজ শেষ করব। এটা একটা রমকম। ওয়ার্কিং টাইটেল ‘এটাও একটা প্রেমের গল্প’। প্রেম, বিচ্ছেদ, প্রোটাগনিস্টের নানা রকম অ্যাডভেঞ্চার, এইসব থাকবে। প্রোটাগনিস্ট মেয়েটি ডান্সার।

গত বার পুজোয় কোথাও যাওয়া হয়নি। তার আগের বার ইয়োরোপ গিয়েছিলাম, গ্রিস ও টার্কি। সে জন্যই ভেবেছিলাম একটা বছর গ্যাপ নিয়ে আমরা আয়ারল্যান্ড যাব। কিন্তু হল না। ‘আমরা’ মানে কে সেটা বলব না। এ বার পুজোতে আমার এক বন্ধুর ক্যাফে আছে যাদবপুরে ‘বিগ ব্যাং’ বলে, ওখানে গিয়ে আড্ডা দেব। আর ম্যাডক্স স্কোয়ারে পুজো দেখতে যাব। আগে কলকাতায় থাকলে ওখানে যেতাম। কিন্তু এখন লোকজন একটু চিনতে পারে বলে অসুবিধাই হয়। তবু বুড়িছোঁয়ার মতো হলেও যাব। আর আমাদের পাড়া ‘অভিষিক্তা’য় সবাই খুব ধুনুচি নাচ নাচে। ধুনুচি নাচের কম্পিটিশন হয়। কিন্তু সে সব আমি করতে পারি না। এমনি নাচি। আমাদের পাড়ায় বাচ্চা ছেলেমেয়েরা এ বার পুজো করছে। ওরা কলেজে পড়ছে বা সবে চাকরি পেয়েছে। ফলে এ বার পুজো খুব জমজমাট হবে। ভাসানের সময় সবাই নাচে। নাচের কিছু হলে আমিও নিজেকে ধরে রাখতে পারি না। আমিও নাচব।

Advertisement

এমনিতে খুব ডায়েটে থাকি। কিন্তু পুজোর সময় প্রচণ্ড খাই। আমি প্রচণ্ড মিষ্টি অ্যাডিক্টেড। আর কোনও কিছুতে কষ্ট হয় না, কিন্তু যখন আমি ডায়েটে থাকি মিষ্টি দেখলে পাগল পাগল লাগে। এ বার পুজোতে প্রচুর মিষ্টি খাব। বাঙালি মিষ্টি। দই, মিষ্টি, রাবড়ি, রসমালাই, এই সব খাব। আমি রান্না করতে পারি না। বাড়িতে বন্ধুরা এলে রান্না করে। বিরিয়ানি হয়, আরও অনেক কিছু হয়।

আরও পড়ুন: এ বার শ্রীময়ীর মতো করে সাজব: ইন্দ্রাণী হালদার​

সারা বছরই কিছু না কিছু শপিং করি। পুজোয় নিজের জন্য আলাদা করে কিছু কিনি না। কারণ তখন ভীষণ ভিড় হয়ে যায়। কিন্তু কিছু গিফট তো দিতেই হয়। সেই কেনাকাটাগুলো থাকে। কিন্তু এ বছর চেষ্টা করেছি অনলাইনেই ব্যাপারটা সেরে ফেলতে। এই পুজোতে আমি নিজেকে যেটা উপহার দিয়েছি সেটা ঠিক বলার মতো না। ‘কেটলবেল’ বলে একটা ওয়েট এক্সারসাইজ করি। ইটস আ ওয়েট। একটা বত্রিশ কেজির কেটলবেল নিজেকে উপহার দিয়েছি পুজোয়। এটা নিয়ে এক্সারসাইজও শুরু করে দিয়েছি। আমার কাছে ষোলো, বারো, আট কেজির কেটলবেল অলরেডি আছে।

পুজোয় যখনই বাড়ি থেকে বেরব খুবই সেজে বেরব। মেনলি পুজোর সময় শাড়ি পরতেই ভাল লাগে। আমার চিরকালীন ফেভারিট কটন শাড়ি। কিন্তু পুজোয় সব সময় তো কটন পরলে হয় না, দুটো সিল্ক শাড়িও কিনেছি। কটন শাড়ির সঙ্গে রুপোর বা কাপড়ের গয়না পরব। রুপোর গয়না আমার খুব ফেভারিট। সত্যি বলতে কি, শুটিং ছাড়া খুব একটা মেকআপ করতে পছন্দ করি না। মেকআপ হয়তো সে ভাবে করব না। কিন্তু চোখের মেকআপ করব ডেফিনেটলি। মোস্টলি কাজল, ন্যুড আই, ন্যুড লিপস করব। হেয়ার মোস্টলি ব্লো ড্রাই করব। যদি কোনও ইভেন্টে যাই তো ট্র্যাডিশনালি চুলটা খোঁপা করে বা সনাতনী লুক নিয়ে যাব। ট্র্যাডিশনাল লুকের সঙ্গে গোল্ড বেসড গয়না থাকবে।

আরও পড়ুন: রাজের সঙ্গে আলাদা করে পুজো কাটানোর প্ল্যান নেই: শুভশ্রী​

কোনও প্রেমই নেই আমার জীবনে। খুব খারাপ, আনরোম্যান্টিক, বোরিং জীবন। কোথাও যখন বেড়াতে যাওয়া হল না, ভেবেছিলাম পুদুচেরি চলে যাব একা একা। একা বেড়াতে গেলে প্রেমের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু আমার সে গুড়েও বালি। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় মনে হচ্ছে এটাও বাতিল করতে হবে। তবে আশা ছাড়িনি। এমনও হতে পারে যে পঞ্চমীর দিন টিকিট কেটে সপ্তমীর দিন পাড়ি দিলাম। এখানে বেড়াতে যাওয়া আমার অনেক দিনের ইচ্ছা। হয়ে উঠছে না। প্রেমের আশা আমি সব সময় করি। কিন্তু অনেক দিন যাবৎ কোনও নতুন প্রেম হচ্ছে না। প্রত্যেক পুজোতেই খুব আশা করি নতুন প্রেম হবে। নতুন প্রেম ছাড়া জীবন ভীষণ আলুনি, নন এক্সাইটিং, বোরিং, ডিসপ্যাশনেট। নতুন প্রেম খুবই দরকার বুঝতে পারছি। সেই সময় আগত। হলেই জানিয়ে দেব। আমি ‘গোপনে প্রেম রয় না ঘরে’-তে বিশ্বাসী। তবে প্রেম তো অনেক ধরনের হয়। কিছু প্রেম আবার গোপন রাখাই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement