মধুমিতা সরকার
পুজো মানেই আমার কাছে হইহুল্লোড়, দেশপ্রিয় পার্কে লাইন দিয়ে ফুচকা খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা এবং আরও অনেক কিছু। পুজোর ওই কয়েকটা দিনের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। আগে থেকে পুজোর প্ল্যান করে রাখি না আমি। এ বারেও সে রকম কিছু প্ল্যানিং নেই। আমার স্কুলের বন্ধুরা একাই একশো। ওদের সঙ্গেই কেটে যাবে গোটা পুজোটা। এ ছাড়া বাবা-মায়ের সঙ্গেও অনেকটা সময় কাটানো যাবে।
ইচ্ছে হলে প্যান্ডেল হপিং-এ যেতে পারি। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে তো সারা বছর সে ভাবে দেখা হয় না। ওরাও ব্যস্ত। আর আমারও সিরিয়াল থাকতো। এ বছর অনেকটা সময় পাব। এখন লোকে আমায় রাস্তাঘাটে দেখে একটু আধটু চিনতে পারে বলে সব কিছু বদলে গেছে এমনটা নয়। সম্পর্কগুলো এখনও আগের মতোই আছে।
একটা মজার কথা বলি, আমার বন্ধুগুলো ভীষণ রকম ইয়ার্কিবাজ। তখন সবে সবে ‘কেয়ার করি না’ হচ্ছে। রাস্তায় লোকজন চিনতে পারছে। বন্ধুদের সঙ্গে গেছি। ছাদে তো বিশাল পার্টি হচ্ছে। রাত দু’টো বেজে গিয়েছে। মা সমানে চিৎকার করছে। বার বার ফোন করছে বাড়ি ফেরার জন্য। এ বার বাসে উঠেছি বন্ধুদের সঙ্গে। আশপাশের লোকজন আমায় খুব একটা খেয়ালও করেননি। কিন্তু আমার বন্ধুভাগ্য এমনই, হঠাৎ করে চারদিকের লোককে শুনিয়ে চিৎকার করে বলছে, ‘এই ও সিরিয়াল করে না!’ ব্যস! আশপাশের লোকজন তাকাতে শুরু করে দিয়েছে। সে এক যাচ্ছেতাই ব্যাপার।
আরও পড়ুন: পুজোয় যেন কিছু বাদ না পড়ে, হারিয়ে না যায়: গৌরব
আরও পড়ুন: পুজোয় অনেক দিন না-দেখা বন্ধুকে দেখার অপেক্ষায় আছি
আর এক বার কোনও একটা পুজোমণ্ডপে গেছি সবাই মিলে। ইচ্ছে করে আমার এক বন্ধু ভিড়ের মধ্যে লোককে শুনিয়ে বলছে, ‘এই, ওই মেয়েটা ভালবাসা ডট কমের তোড়া না? কোনও মানে হয়? জীবনে কোনও দিনও ভালবাসা ডট কম করলামই না। অথচ লোকের সামনে এই সব বলে ইয়ার্কি মারবে? সে সব সত্ত্বেও ওরাই আমার পুজোটাকে মাতিয়ে রাখে। এ বারেও রাখবে, আমি জানি।