পুজোর ক’টা দিন যদি ছুটি পাই তো ব্যাঙ্কক যাওয়ার ইচ্ছে আছে। কিন্তু এখনও জানি না আদৌ ছুটি পাব কি না। কারণ শুটিং অফ থাকলেও পুজো উদ্বোধনে ফিতে কাটতে যাওয়ার বিষয় আছে। শো আছে বেশ কতগুলো। পুরো প্ল্যানিং হাতে এসে গেলে বুঝতে পারবো। পুরোটা তো আমার উপর নির্ভর করছে না। তবুও এখনও অব্দি যেটুকু হাতে এসেছে তাতে বুঝতে পারছি, আলটিমেটলি বেড়াতে যাওয়া বোধহয় হবে না। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।
পুজোর জামাকাপড় মোটামুটি কেনা হয়ে গেছে। যদিও কবে কী পরব এক্স্যাক্টলি ঠিক করিনি। মোটামুটি বলা যায়, পুজোর দিনগুলোয় বেসিক্যালি জিনস, টি শার্ট, শার্টের মধ্যেই পরব। তবে অষ্টমী আর দশমীর দিন পাঞ্জাবি মাস্ট। পাঞ্জাবি ছাড়া ওই দু’দিন চলবেই না। আমাদের পাড়ায় আবার একাদশীতে ভাসান হয়। সে দিনও পাঞ্জাবিই পরি। এ বারেও ওই পাঞ্জাবিই পরব।
সবার সঙ্গেই আড্ডা দেব পুজোর ক’টা দিন। বন্ধুবান্ধব তো আছেই। কিন্তু আগের মতো ওপেন বসে বসে পাড়ার মণ্ডপে আড্ডা দেওয়া এখন আর হয় না। অভিনয় শুরু করার পর যা হয়। সবাই চিনতে পারে। মোটামুটি সব বাড়িতেই কেউ না কেউ টেলিভিশন দেখে তো। তাই নিজের মতো থাকাটা মুশকিল হয়ে যায়। তাই বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে হয়তো কোনও রেস্তরাঁয় বসে আড্ডা দেব। এন্টায়ার ফ্রেন্ডস গ্রুপের সঙ্গে সে ভাবেই প্ল্যানিং করে নিয়ে আড্ডা হয় প্রতি বার পুজোয়। যেমন আগের বার পুজোয় সবাই মিলে ‘ইবিজা’ গিয়ে আড্ডা দিয়েছি। দেখা যাক এ বার কোথায় যাওয়ার প্ল্যান হয়।
ছেলেবেলার মতো প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঘুরে সবাইকে দেখা আর হয় না। বিশেষ করে আমি লক্ষ্য করি, মেয়েদের মেয়েরাই বেশি দেখে। আমি তো আর সিঙ্গল নই। প্রেম করি। এটা এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। যদিও কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলি, সিঙ্গল। কিন্তু আসলে নই! প্রীতি-ই (বিশ্বাস) সেই বিশেষ মানুষ। ‘বিগ বস’-এ অংশ নিয়েছিল। এখন ‘সৌদামিনীর সংসার’ সিরিয়ালে কাজ করছে। ওর সঙ্গেও পুজোর ক’টা দিন আড্ডা হবে। এমনিতে আমাদের দেখা কম হয়। দু’জনেই কাজে ব্যস্ত থাকি।
আরও পড়ুন: বন্ধুরাই আমার এ বারের পুজো মাতিয়ে রাখবে: মধুমিতা
পুজোর পরে তো একটু হলেও মন খারাপ হয়। শুটিং শুরু হয়ে যাবে। আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলতে বলতে মন ভাল করার চেষ্টা করব। কিন্তু সে তো পরের কথা। আগে দুর্দান্তু পুজো তো কাটাই! মন খারাপের কথা এখন আর নয়।