দেবলীনা কুমার এবং গৌরব চট্টোপাধ্য়ায়
১৯ বছর বয়স থেকে রোজগার করছি আমি। তবে থেকেই ধনতেরসে সোনা বা রুপোর সিকি কিনি। নিজের ধনসম্পদ বৃদ্ধি করার দায়িত্ব খুব ছোট থেকেই নিজের ঘাড়ে নিয়েছি আমি। কারও কারও মতে, স্বামীরাই তাঁদের স্ত্রী-র জন্য সোনা বা রুপো কিনে আনেন। কিন্তু এই ধারণাটি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞাপনের জন্য। বিজ্ঞাপনী কৌশলের জন্য মানুষের ধারণা যে, একটি পরিবারে কেবল স্বামীরাই রোজগার করেন। স্ত্রী-রা কেবল তাঁদের স্বামীদের কাছ থেকে সোনাদানা উপহার নেন।
এই ধরনের কোনও প্রবণতা আমার বাপের বাড়িতেও নেই, শ্বশুরবাড়িতেও নেই। বিয়ের পর গৌরবের কাছ থেকে ধনতেরসে সোনা নেব— এ রকম ভাবনা আমার মধ্যে তৈরি হয়নি। কারণ আমি নিজেই নিজের রোজগারের ভার নিয়েছি।
আমার মা আর মাসি সব সময়ে নিজেদের জন্য কিছু না কিছু টুকটাক কিনেছেন। আমিও ১৯ বছর বয়স থেকে দিনের একটা সময়ে (দিনের নির্দিষ্ট সময়ে কিনতে হয় বলে জানি আমি।) দোকানে গিয়ে সোনা বা রুপো কিনেছি। এ বারও তাই করেছি। রুপোর সিকি কিনে এনেছি নিজের জন্য।