চেমসফোর্ড। লন্ডন থেকে কুড়ি মিনিটের দূরত্বে। এসেক্স থেকে অন্তর্গত একটা ছোট সুন্দর শহর. এখানে প্রচুর স্কুল কলেজ থাকার জন্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ছাত্রদের এখানে দেখতে পাওয়া যায়। 'চেমসফোর্ডকে বার্থ প্লেস অফ রেডিয়ো'র সরকারি আবিষ্কার- কর্তা এক মার্কনি সাহেব এখানেই ১৮৯৯ সালে প্রথম রেডিয়ো কারখানা স্থাপন করেছিলেন। এখানে একটা বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামও আছে যেখানে নিয়মিত কাউন্টি ক্রিকেট খেলা হয়। ১৯৮৩ র বিশ্বকাপে এই মাঠেই ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ১১৮ রানে হারিয়েছিল।
যাই হোক, এখন এখানে যথেষ্ট ঠান্ডা। প্রায় চার পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাচ্ছে। আর সঙ্গে ঝিরঝিরে বৃষ্টি।
যেহেতু এখানে পুজোর কোনও ছুটি নেই তাই শনিবার আর রবিবার পুজোর ব্যবস্থা গুছিয়ে নিতে হয়।
এবারে যেমন শনিবারে সপ্তম অষ্টমী আর রবিবারে নবমী দশমী।
এক সদস্য আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, 'কলকাতায় যখন রবিবারে সন্ধি পুজো হবে এখানে ততক্ষণের সিঁদুর খেলা শেষ হয়ে যাবে! তবে এটুকু বলার, এই পুজো প্রাঙ্গণ. জমিয়ে আড্ডা, বাঙালি খাবার দাবার, ভোগ ইত্যাদি পুজোর বাঙালি আনার স্বাদ যতটা পারা যায় নিজেদের মতন করে বানিয়েনি আমরা।'
কী মর্মস্পর্শী, না!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।