পুজোর কাজে ব্যস্ত মহিলারা।
আগমনীর বাজনা বাজে ইসলামী দেশ বাহরিনেও৷ মধ্যপ্রাচ্যের এই ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জের আপামর ভারতীয় বাঙালির গলায়ও ফোটে সেই সুর৷
গত তিন দশক ধরেই ফুটছে৷ হপ্তাচারেক আগে শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি৷ এখন তা চূড়ান্ত পর্বে৷ এখানকার অনেক বাঙালি পরিবার গরমের ছুটিতে দেশে যান। ফেরার সময় তাঁরাই পুজোর জিনিসপত্র কিনে আনেন৷ আর, ভাগ্যক্রমে আমাদের পুরোহিতমশাই তাঁর কর্মসূত্রে বাহরিনেই থাকেন। মায়ের শোলার ডাকের সাজের মূর্তি আনানো হয় কলকাতা থেকে।
বাহরিন সরকারের সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রক অনুমতি নিয়েই আয়োজিত এই পুজোয় স্থানীয় প্রায় ১২০টি পরিবার যোগদান করে। এ ছাড়া বহু বাঙালি পাশাপাশি আরব দেশ থেকে চলে আসেন৷ পুজোর শুরু হয় মানামা কৃষ্ণমন্দিরে। পরে মহারাষ্ট্রমণ্ডলী ও আনার্থ হলে পুজো হতে থাকে৷ জনসমাগম অনেক বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে পুজো হচ্ছে আঁধারি পার্কের হলে। কেবল পুজোই নয়, প্রতিবারের মতো এ বারও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর আকর্ষণীয় কিছু প্রতিযোগিতাও পুরোদমে চলবে পুজোর দিনগুলো৷
আরও পড়ুন: সাগর পারের আটলান্টা উইক এন্ডেই খুঁজছে শিউলির সুবাস