গ্রেট ব্রিটেনের কার্ডিফ শহর। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এখানকার প্রবাসী বাঙালিরা পুজো করে আসছেন। এ বার তাঁদের ছিল পঞ্চাশ বছর। তাকে ঘিরে ৫ দিন ধরে উৎসবে মাতলেন এখানকার বাঙালিরা।
পুজোর জন্য আলাদা কোনও মণ্ডপ তৈরি করা সম্ভব হয় না এখানে। ওয়েলশ সেন্টার অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স হলে পুজো করা হয়। এ বারও তাই হল। থিমের কোনও ব্যাপার নেই এখানকার পুজোতে। যতটা সম্ভব আচার-আচরণ মেনেই পুজো করেন সদস্যরা।
দেবী মূর্তি এখানে পাঁচ চালার। ২০১৬ সালে শিল্পী সুনীল পাল এবং দিব্যেন্দু দে দুর্গাপুজো হেরিটেজ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কার্ডিফে প্রতিমা তৈরি করেন। সেই থেকেই ওই প্রতিমাই এখানে পুজো করা হচ্ছে। এ বছর প্রতিমার কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে মাত্র। কার্ডিফে সেন্ট ফাগান মিউজিয়ামের শিল্পী পুর্ণেন্দু দে এবং চিত্রলেখা কাঞ্জিলাল এই কাজ করেছেন।
এই বছর প্রথম বার কোনও মহিলা এখানকার পুজো করেছেন। মহিলা পুরোহিতের নাম সুমিত্রা মিত্র ঘোষ। পুজোর সময় অধিকাংশ সদস্যই নিজেদের অফিসের থেকে ছুটি নিয়ে নেন। বাচ্চরা নিজেদের স্কুলের পরে পুজোতে যোগ দেয়। তবে সপ্তাহের শেষে প্রত্যেককেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
দশমীতে ঘটা করে এখানে সিঁদুর খেলা হয়। ঢাক-কাঁসর কোনটাই বাদ যায় না। এ বছরও তাই হল। পুজোর প্রতি দিনই সন্ধেবেলা ছিল বিচিত্রানুষ্ঠান। দশমীর রাতে একটি বাংলা নাটকও অভিনীত হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ছিল বাংলার একটি ব্যান্ডের অনুষ্ঠান।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।