প্রতীকী ছবি।
ঊর্ধ্বগামী জালানির দামের জেরে চাহিদা বাড়ছে ই-স্কুটারের। কিন্তু ভারতের রাস্তায় এমন স্কুটার কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা উচিত? দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।
• গতি: ব্যাটারিচালিত যানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল গতি। ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতি থেকে শুরু করে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতির ইলেকট্রিক স্কুটার পাওয়া যায়। গতি বাড়লে দামও বাড়ে। আপনার প্রয়োজন মেটার জন্য কেমন গতির প্রয়োজন তা আগে বুঝে নেওয়া দরকার।
• চার্জ: একবার পুরো চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে কতটা যাবে আপনার গাড়ি, সেটা জেনে নেওয়া ভাল। কোনও কোনও ইলেকট্রিক স্কুটার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। কোনওটা আবার ১৫০ কিলোমিটারও চলে যায়। না জেনে গাড়ি কিনলে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে।
• কোথায় চার্জ দেবেন: এই ধরনের বাইক বা স্কুটার কেনার সময়ে বাড়িতে তা চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তায় চার্জ ফুরিয়ে গেলে? তাই দেখে নিন কোথায় বা কোন কোন পেট্রোল পাম্পে আপনার যানটি চার্জ দেওয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে।
• ভার বহনের ক্ষমতা: সাধারণত এই গাড়ি খুব হাল্কা হয়। ফলে যাঁদের ওজন বেশি, তাঁরা এই গাড়ি চালালে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া গাড়ির পিছনে আরও কাউকে বসালে, তাঁর ওজনও বহনের ক্ষমতা আপনার গাড়ির রয়েছে কি না তা জেনে নিন।
• লাইসেন্স: সাধারণত ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের কম গতিবেগ হলে সেই যান চালাতে লাইসেন্স লাগে না। তবু আপনার পছন্দের ইলেকট্রিক স্কুটারটি কেনার আগে ভাল করে জেনে নিন, এটির জন্য কোনও লাইসেন্স লাগবে কি না।
• দাম: সাধারণ বাইক বা স্কুটারের তুলনায় ব্যাটারিচালিত এই গাড়ির দাম অনেকটাই কম। কিন্তু এর নির্মাণকৌশল এবং যন্ত্রপাতির নিরিখে দাম নেহাত কমও নয়। ৫০ হাজার টাকা থেকে সাধারণত এর দাম শুরু হয়। ব্যাটারির ক্ষমতা, গতিবেগ বাড়লে এর দামও বাড়ে। তাই কেনার আগে দামের বিষয়টিও ভাল করে দেখে নিন। এমন যেন না হয়, অনেক দাম দিয়ে কেনার পরেও আপনার মন ভরছে না।