ল্যাম্পশেডের নরম আলো ঘরের মধ্যে তৈরি হয় এক মায়াবী পরিবেশ।
ছোটখাটো জিনিস দিয়েও আপনি সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার ঘর। তার মধ্যেই একটি অন্যতম উপাদান হল ল্যাম্পশেড। ল্যাম্পশেড দিয়ে ঘর সাজালে অন্দরসজ্জায় এক আলাদা মাত্রা যোগ হয়। ঘরের মাপ রং, পর্দার রং সব কিছুর সঙ্গে মানানসই একটি ল্যাম্পশেড আপনি বেছে নিতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। দেখবেন সম্পূর্ণ ঘরের রূপই বদলে গেছে।
আলো দিয়ে যারা ঘর সাজাতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য ল্যাম্পশেডের থেকে ভাল বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। ল্যাম্পশেডের নরম আলো ঘরের মধ্যে তৈরি করতে পারে এক মায়াবী পরিবেশ। যাতে আপনি নিজে অথবা প্রিয় মানুষটার দিব্যি কাটিয়ে ফেলতে পারবেন বেশ কিছুটা সময়।
বেছে নিতে পারেন টেরাকোটা কিংবা মাটির ল্যাম্পশেড ।
কী কী বিষয় খেয়াল রেখে ল্যাম্পশেড বেছে নেবেন?
এবার দেখে নেওয়া যাক কী ধরনের ল্যাম্পশেড বাজারে কিনতে পাওয়া যায়-
টেরাকোটার ল্যাম্পশেডঃ নানা ধরনের নকশা করা আকর্ষণীয় সব টেরাকোটার ল্যাম্পশেড বাজারে কিনতে পাওয়া। খুব দাম হয় না এগুলোর। আবার এই ধরনের ল্যাম্পশেড আপনার সাবেকি গৃহসজ্জার সঙ্গে দারুণ মানাবে।
বাঁশের তৈরি ল্যাম্পশেড আপনার ঘরে আনবে আধুনিক লুক ।
বাঁশের তৈরি ল্যাম্পশেডঃ বাঁশ দিয়ে তৈরি দারুণ সব ল্যাম্পশেড এখন পাওয়া যায়। এর ব্যবহারে আপনার ঘরে আধুনিক লুক আসবে। তাছাড়া বাড়িতে বাচ্চা থাকলে এই ধরনের লাম্পশেড ঘর সাজানোর খুব ভাল একটি বিকল্প। ধাক্কা লেগে পড়ে গেলে সহজে ভেঙে যাওয়ার ভয় অনেকটাই কম থাকে।
হ্যাঙ্গিং ল্যাম্পশেডঃ ল্যাম্পশেড যে শুধুই বেডসাইড টেবল কিংবা ঘরের একটা কোণের শোভা বাড়ায় তা নয়। এখন বাজারে নানা ধরেন হ্যাঙ্গিং ল্যাম্পশেড পাওয়া যায়। এগুলো আপনি ঘরের ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারবেন। এতে ঘরের চেহারায় পরিবর্তন আসবে।
চাইনিজ ল্যাম্পশেড
চাইনিজ ল্যাম্পশেডঃ চাইনিজ ল্যান্টার্ন এর আদলে এখন বেশ সুন্দর সব ল্যাম্পশেড পাওয়া যায়। এই ধরনের ল্যাম্পশেডগুলি টেবিলেও রাখা যায় আবার ঘরের ছাদ থেকেও ঝুলিয়ে দেওয়া যায়।
আপনি যদি চান নিজের হাতেও বানিয়ে ফেলতে পারেন ল্যাম্পশেড।নিজের হাতে তৈরি কোন জিনিস দিয়ে ঘর সাজানোর মধ্যে একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি থাকে। এখন বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল দেখে নিজেও বানিয়ে ফেলতে পারেন ল্যাম্পশেড। তাহলে আর দেরি কেন? ল্যাম্পশেড দিয়ে সাজিয়ে বদলে ফেলুন ঘরের চেহারা।