ফাস্ট ফুডে পেট ভরাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
বাড়িতে ব্রেক ফাস্টের নেই ফুরসত। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটতে হচ্ছে সকলকে। বাদ যাচ্ছে না ছোটরাও। স্কুল থেকে ফিরে হোক বা কোচিংয়ের ফাঁকে খিদে পেলেই ফাস্ট ফুডে পেট ভরাচ্ছে স্কুল-কলেজের প্রজন্ম।
তাদের সাফ জবাব, ফুডস্টলগুলির খাবারে যে স্বাদ, সেই স্বাদ নেই বাড়ির খাবারে! আর বাইরের খাবার মানেই রকমারি ফাস্ট ফুডের বাহার। সেই তালিকায় বাদ পরে না বার্গার-পিৎজার মতো অধিক ফ্যাটযুক্ত খাবার গুলি। খাবারে এই ফ্যাটের আধিক্য থেকে বেড়ে চলেছে ওজন। অল্প বয়সেই জমছে পেটে ও কোমরের অবাঞ্ছিত মেদ।
শহুরে মরসুমে উৎসবের আমেজ থাকে সব ঋতুতেই। তার মধ্যে শীত অন্যতম। খাওয়াদাওয়া, হই-হুল্লোড়, উইকেন্ড আউটিং এসবের মধ্যেই রয়েছে ভিন্ন স্বাদের খাদ্য তালিকায়। খাদ্যের এই অনিয়মের ফলে শরীরে জমছে মেদ, কিন্তু সময় করে শরীরচর্চার অবকাশ নেই। ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের বলছেন, দিনের মধ্যে ন্যূনতম কিছু সময় বার করে কিছু ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে দূর করতে হবে অবাঞ্ছিত মেদকে। তবে শরীরচর্চার পাশাপাশি হালকা ডায়েটও করতে হবে বইকি।
মনে রাখবেন, শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ভুল কোনও পদ্ধতি কিন্তু মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সঠিক নিয়ম ও কায়দা জেনে তবেই ব্যায়াম করুন । প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।
স্কোয়াট: দুই পায়ের মধ্যে মোটামুটি ১২ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে হাত দুটো মুঠো করুন। এ বার হাফ সিটিং পজিশনে আপ-ডাউন করুন। এটি করার সময় পায়ের পেশীতে এবং পেটে টান অনুভব করবেন। প্রথম প্রথম ১০ বার করে৩ টি করে সেট করুন। পরে তা বাড়িয়ে ১০ টি সেটে নিয়ে যান। এই ব্যায়ামে শরীরের ক্যালোরি বেশি খরচ হয়।
ক্রাঞ্চ: মাটিতে পিঠ রেখে শুয়ে হাঁটু জোড়া ভাঁজ করুন যাতে আপনার পায়ের পাতা মাটিতে ঠেকে। হাত জোড়া বুকের উপর ক্রশ করুন কিংবা মাথার পিছনে রাখুন। এর পর পেটের উপরে চাপ দিয়ে মাথাটি হাঁটুর দিকে নিয়ে যান। এই পজিশনে ৫ গুনু্ন। তারপর মাথাটি পুনরায় মাটিতে ঠেকান। প্রথম প্রথম ১৫ বার করে ৩ টি সেটে করুন। পরে বাড়িয়ে ৫ টি সেট করুন। নিয়ম মেনে করলে ফল মিলবে অবশ্যই।
প্লাঙ্ক: অভ্যাস না থাকলে প্রথম দিকে কনুই পর্যন্ত মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে প্লাঙ্ক করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে হাতের পাতা ও পায়ের পাতা মাটিতে রেখে বাকি শরীরটা হাওয়ায় তুলে দিন। প্লাঙ্কের সময় পেট ভিতরে রাখতে পারলে আরও বেশি উপকার পাবেন। শরীরের ক্যালোরি এতে বেশি খরচ হবে। তবে এটি করার আগে অবশ্যই ট্রেনারের পরামর্শ নেবেন। পেট ও কোমরের কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তুলতে প্লাঙ্কের জবাব নেই। প্রায় ২ মিনিট করা যেতে পারে এই প্লাঙ্ক। তবে ২০ সেকেন্ড থেকে শুরু করুন, ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিন।
কিছু সময় হাতে নিয়ে নিয়মমাফিক যদি এই এক্সারসাইজগুলি করা যায়, তবে পেট ও কোমরের মেদ থেকে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে।