পার্টি করার পর হ্যাংওভারের জেরে সকালে অফিস বা অন্য কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে।
নভেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি, এই সময়টা জুড়ে কলকাতা মহানগরীতে চলে দেদার পিকনিক, লেট নাইট পার্টি, সপ্তাহ শেষে আউটিং!পিকনিক-পার্টি মানেই বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো। পরিমিত পরিমাণে মদ্যপানও এই সময় অনেকেই করে থাকেন।
এ দিকে অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করার পর হ্যাংওভারের জেরে সকালে অফিস বা অন্য কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে। ফলে ব্যস্ত জীবনে ছন্দপতন ঘটে। তাই হ্যাংওভার নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি।
যদিও বাজারে এখন হ্যাংওভার কাটানোর নানা রকম ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু এই রকম ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে। তার চেয়ে ঘরোয়া উপায় ও কিছু নিয়মে ভরসা রাখাই ভাল।
হালকা অ্যালকোহলে পার্টি যেমন বেশি উপভোগ করবেন, তেমনই হ্যাংওভারও কম হবে
• হ্যাংওভার কাটাতে হলে পান করার সময় সচেতন থাকুন। সব ভুলে অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়িয়ে দেবেন না। পান করার সঙ্গে সঙ্গে জল খেতে থাকুন। এতে ডিহাইড্রেশন হবে না।
• ফ্যাটি খাবার শরীরে ভেতরে অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভাজা খাবার, সসেজ, পিৎজা জাতীয় খাবার খেলে অ্যালকোহলের প্রভাব কমবে। তবে এ সব খাবারেও খুব অ্যাডেড সুগার ও নুন থাকে। তাই এরাও শরীরের জন্য ভাল নয়। চেষ্টা করুন মদ ও খাবার দুই-ই খুব পরিমিত খেতে।
• হালকা অ্যালকোহলে পার্টি যেমন বেশি উপভোগ করবেন, তেমনই হ্যাংওভারও কম হবে।
আর পড়ুন: শীতকালে ঝরছে না ওজন? স্কিপিংয়ে করুন বাজিমাত!
• পার্টি মুডে অনেকেই নানা রকম ড্রিঙ্ক নিয়ে ফেলেন। এমনটা না করে যে কোনও এক রকম পানীয়তে সীমাবন্ধ থাকুন। অনেক রকম ড্রিঙ্ক মেশালেই হ্যাংওভার হবে।
• পার্টি থেকে ফিরে অন্তত টানা আট ঘণ্টা ঘুমোন। হ্যাংওভার কাটাতে সবচেয়ে জরুরি বিশ্রাম।
• ঘুম থেকে এক-দুই টেবিল চামচ মধু খেয়ে নিন। এতে হ্যাংওভার কাটবে। শরীর গরম রাখবে, ঠান্ডা লাগার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।
• হ্যাংওভার কাটাতে মুখে এক কুচি আদা নিয়ে চিবোতে থাকুন। আদার রস আপনাকে চাঙ্গা করবে। গরম জলে আদা, মধু দিয়ে গেলেও উপকার পাবেন।
• ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যামিনো অ্যাসিড। যা হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করবে।
• অ্যালকোহল শরীরের ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় খনিজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। কমলা ও টমেটোর রস বা লেবুর রস শরীরে ভিটামিনের মাত্রা বজায় রাখে। হ্যাংওভার কাটে তাড়াতাড়ি।