আমার মনে হয় কলকাতাই বেস্ট কলকাতার দুর্গাপুজো।
কলকাতাতেই আমার জন্ম। কলকাতাকে অবশ্যই আমি ভালবাসি, ভীষণ ভালবাসি। কলকাতাতেই আমার কাজ, আমার বেড়ে ওঠা। সবটাই কলকাতায়। সব সময় এখানে থাকতেই ভালবাসি। লোকে পুজোর সময় কলকাতার বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে যায়। কিন্তু আমার মনে হয় কলকাতাই বেস্ট। কলকাতার দুর্গাপুজো, দেশপ্রিয় পার্কের পুজো বা তালতলা মাঠের মেলা— এগুলোকে আমি খুব উপভোগ করি।
সাউথ সিটির কাছেই আমার বাড়ি। তাই দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে আমার বেশি পরিচিতি। আর কলকাতার বিরিয়ানি আমি খুব ভালবাসি। সাধারণ চিকেন বিরিয়ানি দারুণ লাগে। আজাদ হিন্দ ধাবা বা আরসালানের বিরিয়ানি খুব পছন্দ করি। বলরাম মল্লিকের বেকড রসগোল্লাও খেতে খুব ভাল লাগে।
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে বার হলে চুপচাপ থাকি। আমি খুব শান্তশিষ্ট। আমার ঘুরে বেড়ানো মানে গাড়িতে গান শুনতে শুনতে কোথাও যাওয়া বা কোথাও বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে গল্প করা বা চিৎকার করার অভ্যেসটা আমার নেই। বন্ধুদের সঙ্গে বেরোলেই ফুচকা, চুড়মুড়, চিপস খাই। আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু খেতে পারি না। আমার গলার একটু সমস্যা আছে।খেলেই গলাটা যাবে। ডায়ালগ বলা বা এমনি কথা বলাই মুশকিল হয়ে যাবে। তবে অনেক দিন বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও যাওয়া হয়নি, ফুচকা খাওয়াও হয়নি।
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে বার হলে চুপচাপ থাকি
আমি গার্লস কলেজে এবং গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছি। তাই প্রেম করার সুযোগপাইনি।তবে ভাল লেগেছে কাউকে কাউকে। আমি ২০১৩ সাল থেকে অভিনয় করি। কাজ শুরু করার পর থেকে ওইভাবে প্রেমে পড়া এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে কিছু কিছু ভাল লাগা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোনও দিন কাউকে বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: কলকাতা, ভেবে দেখো যাবে কি না আমার সাথে
আমার জীবনে এখনও পর্যন্ত যা ঘটেছে সবই কলকাতায়। এখনও পর্যন্ত আমি কলকাতার বাইরে কোথাও যাইনি। বেড়ানো বলতে পুরী আর শান্তিনিকেতন। এই দুই জায়গার বাইরে আর কোথাও বেড়াতে যাইনি। হ্যাঁ, বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কোনও দিন সুযোগ হয়নি যাওয়ার।
এই মুহূর্তে আমি ‘বাঘ বন্দি খেলা’ সিরিয়ালে রায়ার ভূমিকায় অভিনয় করছি। সিরিয়ালটা সবে শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই মানুষের পছন্দ হয়েছে। এটা আমার খুব বড় পাওনা। আশা করব দর্শক ভবিষ্যতেও আমার চরিত্র এবং আমার সিরিয়াল ভালবাসবেন।