‘যখন প্রথম চাকরি সূত্রে ছেড়ে যেতে হয়েছিল কলকাতাকে তখন সবচেয়ে মন খারাপ হত’
কলকাতা আমার পথে হাঁটা শহর। যখন প্রথম চাকরি সূত্রে ছেড়ে যেতে হয়েছিল কলকাতাকে তখন সবচেয়ে মন খারাপ হত। সব কথাতেই কেবল কলকাতার কথা। যখন বাড়ি আসতাম তখন কলকাতা ছিল কলেজস্ট্রিটের গলি। এসপ্লানেডের একলা পথ।
এরপর ২০১০ থেকে যখন পাকাপাকিভাবে কলকাতায় থাকতে শুরু করলাম তখন কলকাতার মানেটা অন্যরকম হয়ে এল।আমার গানেও সেই কথাগুলো ফিরে ফিরে আসে। কলকাতা বা যে কোনও শহর, আমি মনে করি হেঁটে দেখতে হয়। এখন কলকাতা মানে শুধু এসপ্লানেডের চত্বর বা ঝাঁ চকচকে বাড়ি নয়। এখন কলকাতা মানে বেহালা, গড়িয়া, ঠাকুরপুকুরও। একটা সময় ঠাকুরপুকুরেই আমার বেড়ে ওঠা। তখন ঠাকুরপুকুরের পোস্টঅফিস ছিল জোকা। এখন তো সেটা কলকাতা। কলকাতা-১০৮হল। পঞ্চায়েত থেকে মিউনিসিপ্যালিটি হল। ওখানকার মানুষগুলোর স্মৃতিই আলাদা।
আজও লুকিয়েচুরিয়ে হাঁটতে নামি কলকাতায়। কলকাতাকে ঘিরেই ছুঁয়ে থাকা হাত...কবিতা। কলকাতার সঙ্গে বইমেলা জোড়া আছে আমার স্মৃতিতে। বইয়ের গন্ধে মেশা শহর।
বড্ড আরামের জায়গা আমার।আমার কলকাতা...
কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো যাবে কি না যাবে আমার সাথে।