রহস্যময় ঝলক ধরা পড়েছে ‘মার্চিসন ওয়াইডফিল্ড অ্যারে’ রেডিয়ো টেলিস্কোপে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
রহস্যময় রেডিয়ো তরঙ্গ ভেসে এসেছিল কয়েক মাস আগেই। এ বার ব্রহ্মাণ্ডের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ (মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি)-এ সন্ধান মিলল ‘ভুতুড়ে বস্তুর’। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে যাকে সেটিকে কোনও শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাঁদের একাংশের মতে, ওই ‘ভুতুড়ে বস্তুই’ সেই রেডিয়ো তরঙ্গের উৎস।
মহাকাশ গবেষক নাতাশা হার্লি-ওয়াকার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ‘মার্চিসন ওয়াইডফিল্ড অ্যারে’ রেডিয়ো টেলিস্কোপে ওই বস্তুটির অস্তিত্ব চিহ্নিত করেন। তিনি জানান, ওই ‘ভুতুড়ে বস্তুটি’ থেকে ১৮.১৮ মিনিট অন্তর স্পন্দন ধরা পড়ছিল। পরবর্তী পর্যায়ের পর্যবেক্ষণের পর কয়েক জন অস্ট্রেলীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, অত্যন্ত উজ্জ্বল বস্তুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪,০০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁদের দাবি, এখনও অনেক ‘রহস্য’ উন্মোচন বাকি। নাতাশার কথায়, ‘‘মিনিট কুড়ি অন্তর শক্তিশালী রেডিয়ো তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য প্রবল শক্তির প্রয়োজন।’’
ঘটনাচক্রে, তিন বছর আগের মতোই এ বারও আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ‘রহস্য’ নজরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকেই। ২০১৯-এর এপ্রিল থেকে ২০২০-র অগস্টের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ‘স্কোয়্যার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার’ টেলিস্কোপে দেখা গিয়েছিল আকাশগঙ্গায় রহস্যময় রেডিয়ো তরঙ্গের আলোর ঝলক। মোট ১৩ বার। এর পর ২০২১-এর এপ্রিলে ফের তা ধরা পড়ে অস্ট্রেলিয়ার টেলিস্কোপ কমপ্যাক্ট অ্যারে-তেও। তার আগে ২০২১-এর দক্ষিণ আফ্রিকার ‘মিরকাট’ রেডিয়ো টেলিস্কোপেও ধরা পড়েছিল সেই রহস্য আলো।
ওই আলো কোনও নক্ষত্র, ‘পালসার’ বা ‘সুপারনোভা’ নয় বলে জানিয়েছিলেন মহাকাশ গবেষকেরা। নাতাশার মতে, তাঁর আবিষ্কৃত ‘ভুতুড়ে বস্তু’টি কোনও ‘শ্বেত বামন’ (নিঃশেষ হয়ে যাওয়া নক্ষত্র) হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy