—প্রতীকী চিত্র।
নিজের বাড়ির সামনে গুলিতে খুন হলেন এক ইরাকি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ওম ফাহাদ নামে ওই তরুণী তখন গাড়িতে বসেছিলেন। জানা গিয়েছে, বাইকে করে এসে এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী প্রথমে নিজেকে ফুড ডেলিভারি বয় হিসেবে পরিচয় দেয়। তার পর ফাহাদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
কে বা কারা, কেন ফাহাদকে খুন করল, সে নিয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। বাগদাদের যে অঞ্চলে ফাহাদের বাড়ি, সেখানেই ২০২০ সালে খুন হন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তথা গবেষক হিশাম আল-হাশিমি। তাঁকেও গুলি করে খুন করা হয়েছিল। বাগদাদের এই অঞ্চলে বহু খ্যাতনামা মানুষের বাস। ২০০৩ সালে আমেরিকার আগ্রাসনের আগে সেনা আধিকারিকদের আবাস ছিল এই অঞ্চলে।
ফাহাদ ইরাকি গানের সঙ্গে নাচের ভিডিয়ো বানাতেন টিকটকে। রক্ষণশীল ইরাকে তাই সুনামের থেকে ‘বদনাম’ই বেশি ছিল তাঁর। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত তাঁকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দেয়। ফাহাদের অপরাধ হিসেবে আদালত জানিয়েছিল— ‘ভিডিয়োতে আপত্তিকর কথা বলা, অশালীন আচরণ এবং নৈতিক দায়িত্ববোধ ভঙ্গ’। গত বছর ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে এক বার সোশ্যাল মিডিয়া সাফাই অভিযান চলেছিল। লক্ষ্য ছিল, যা যা আপত্তিকর বিষয় রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেগুলি মুছে দেওয়া। এ সময়ে বহু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইরাকের রক্ষণশীল সমাজে মহিলা ও সমকামীদের স্বাধীনতা এখনও নেই। ২০১৮ সালে ইরাকি মডেল তথা ইনফ্লুয়েন্সার তারা ফারিসকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বাগদাদেই। এদের ‘অপরাধ’ হল নিজেদের স্বাধীনচেতা আচরণে সমাজকে প্রভাবিত করা। ফাহাদকে হত্যার কারণও তেমন কিছু হতে পারে, ধারণা অনেকেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy