Advertisement
১৮ মে ২০২৪
SSC

৬৫ জনকে সুপারিশপত্র দিতে ডাকল এসএসসি, শুরু ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া

জানা গিয়েছিল, ১৮৩ জনের মধ্যে ১০২ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থী চাকরিতে যোগ দেননি। আদালত মেধাতালিকা মেনে ওই শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়।

৬৫ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য জন্য ডাকা হল কাউন্সেলিংয়ে।

৬৫ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য জন্য ডাকা হল কাউন্সেলিংয়ে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৩৫
Share: Save:

কলকাতা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের জায়গায় ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ৬৫ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য ডাকা হল কাউন্সেলিংয়ে। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হবেন তাঁরা। এই ৬৫ জন প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।

এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘এসএসসির তরফে কলকাতা হাই কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করা হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানে আমরা জানিয়েছিলাম, ডেটাবেস অনুসারে র‌্যাঙ্ক জাম্পিং করে ১৮৩ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন।’’ তিনি আরও জানান, জেলা শিক্ষা বিভাগের ডিসট্রিক্ট ইনস্পেক্টর (ডিআই)-দের থেকে তথ্য নিয়ে জানা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১০২ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থী চাকরিতে যোগ দেননি। আদালত মেধাতালিকা মেনে ওই শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়।

সিদ্ধার্থের কথায়, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে দেখলাম ১০২ জনকে পাওয়া যায়নি। দেখলাম, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেধাতালিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কাউকে নিয়োগ করার মতো নেই। শেষ পর্যন্ত ৬৮ জনকে পেয়েছিলাম। তার মধ্যে তিন জনকে নিয়ে সমস্যা ছিল। সেটা বৃহস্পতিবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানানো হয়েছিল।’’ তিনি জানিয়েছেন, এর পরেই শুক্রবার ‘অযোগ্যদের শূন্যপদে’ সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য ৬৫ জনকে ডাকা হয়েছে। এর আগেই এসএসসি রাজ্যের কোন কোন স্কুলে কোন পদ খালি, তার তালিকা প্রকাশ করেছিল।

গত ডিসেম্বরে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিজেদের ওয়েবসাইটে ১৮৩ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছিল এসএসসি। ১৮৩ জন শিক্ষক, যাঁরা ভুয়ো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নাম, রোল নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর থেকে কোন বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন, তা-ও জানানো হয়েছে ওই তালিকায়। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্কের পাশাপাশি ইতিহাস, ভূগোল, জীবন বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন ওই তালিকায়।

তালিকা অনুযায়ী, ভুয়ো সুপারিশপত্রে সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন ইংরেজি শিক্ষকেরা। ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে ৫৭ জনই ইংরেজির শিক্ষক বা শিক্ষিকা। ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ভূগোলে, ২২ জন জীবন বিজ্ঞানে, ২১ জন বাংলায়, ১৮ জন করে অঙ্ক এবং পদার্থ বিজ্ঞানে এবং ১৭ জন ইতিহাসে ভুয়ো সুপারিশপত্রে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE