প্রতীকী ছবি।
মোবাইল গেম ও সোশ্যাল মিডিয়ার হাতছানিতে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটছে পড়ুয়াদের। মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে প্রান্তিক গ্রামের গৃহবধূকেও। অশান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বারবার। অন্যমনস্কভাবে মোবাইল কানে রাস্তা বা রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। মোবাইল ভূত শুধু প্রাণ কাড়ছে না, মেরে ফেলেছে মানসিকভাবে। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ার আসরে যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় এমনই বার্তা দিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।
শুক্রবার হেতমপুর রাজ্য উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া আসরে এমন একটা সময়োচিত ভাবনা উপস্থাপনের জন্য ওই ছাত্রী প্রশংসা কুড়িয়েছে উপস্থিত অতিথি ও শিক্ষিকাদের কাছে। দুবরাজপুরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৈকত ঘোষ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই ছাত্রীর মোবাইল ভূত সাজার ছবি পোস্ট করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, পাবজি, টিকটক ও অন্যান্য গেমের আইকন এবং মুখোশ সহযোগে। মধুরিমা দে নামে ওই ছাত্রী তার সাজের মাধ্যমে যে বার্তা দিয়েছে তা হল মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন, গেম ও সোশ্যাল মিডিয়ার আকর্ষণ কী ভাবে ক্ষতি করছে গোটা সমাজকে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা দাসরায় বলেন, ‘‘আমরা সবসময় বাচ্চাদের বলি এটা কোরো না ওটা কোরো না। কিন্তু ওদের মধ্যেও যে যথেষ্ট বোধশক্তি আছে তা মধুরিমার বিষয় নির্বাচনেই স্পষ্ট। ওই ছাত্রী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে কয়েকজন ছাত্রী যৌথভাবে প্রথম স্থান পেয়েছে।’’ স্কুলের শিক্ষিকারা জানিয়েছেন মোট ১৪টি ইভেন্টে দুশোর বেশি ছাত্রী যোগ দিয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কিছু ইভেন্ট ছিল মনোগ্রাহী। যেমন খুশি সাজো ছিল অন্যতম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নরেশ বাউরি, দুবরাজপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে। এই ভাবনার প্রশংসা করছেন তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy