জীবন সাহা। ছবি: ফেসবুক।
বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহা গত বছর এপ্রিল মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। এ বার তৃণমূলের আরও এক জীবন সাহার বিরুদ্ধে ইডির কাছে ‘আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি’ থাকার অভিযোগে নালিশ জানাল উত্তর কলকাতার বিজেপি। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে উত্তর কলকাতা বিজেপির তিন নেতা কলকাতা পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জীবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছেন জীবন।
উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা মনোজ কুমার বর্মণ, সমরজিৎ দত্ত-সহ তিন জন ইডির বিধাননগরের অফিসে যান। বিজেপি সূত্রে খবর, কাউন্সিলর জীবনের বিরুদ্ধে একাধিক ‘প্রমাণ’ তাঁরা তুলে দিয়েছেন ইডির আধিকারিকদের হাতে। অভিযোগ দায়ের করার পর বিজেপি নেতা মনোজ বলেন, ‘‘জীবন সাহা ও তাঁর স্ত্রীর নামে মোট ২৬টি জমির প্লট রয়েছে। তিনি নির্বাচনের সময় যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে জীবনের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হোক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ছাড়াও ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন হাউজ়িং সোসাইটির মধ্যে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট করে বেআইনি ভাবে রোজগার করা হয়েছে।’’ এ ছাড়াও বিজেপির অভিযোগ, ওই হাউজ়িংয়ের মধ্যেই শঙ্কর আঢ্য এবং বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সম্পত্তি রয়েছে, যাঁরা জীবনের সঙ্গেই নানা ‘অনৈতিক’ কাজের সঙ্গে যুক্ত। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর ইতিমধ্যে ইডির হেফাজতে রয়েছেন। বর্তমানে তৃণমূলের সদর দফতর অস্থায়ী ভাবে জীবনের ওয়ার্ডেই রয়েছে। সেই ‘প্রভাব’ কাজে লাগিয়েও জীবন নানা ‘অসাধু’ উপায়ে রোজগার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা।
অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন বলেন, ‘‘এর আগেও ইডির কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। আজকেও তারা যে অভিযোগ করেছে, তা ইডি খতিয়ে দেখুক। আমি কোনও কিছুই লুকিয়ে রাখিনি।’’ তাঁর আরও জবাব, ‘‘আমি অনেক ছোট বয়স থেকেই ব্যবসা করছি। তাই সব আয়-ব্যয়ের হিসাব সরকারের কাছে দেওয়া রয়েছে। তদন্তে কোনও সহায়তার প্রয়োজন হলে আমি তা করতে রাজি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy