তমলুক শহরের ধারিন্দা এলাকায় শিক্ষকের বাড়িতে চুরি হয়েছিল গত রবিবার রাতে। সেই রেশ কাটার আগেই ফের চুরির অভিযোগ এক চিকিৎসক এবং অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাঙ্ক আধিকারিকের বাড়িতে। সোমবার রাতের ঘটনাস্থল সেই তমলুকের ধারিন্দা এলাকা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যদিও এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার দাবি, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ধারিন্দা এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক স্বপন পড়িয়ার বাড়িতে চুরি হয়েছে রবিবার রাতে। পুলিশের কাছে অভিযোগে স্বপনবাবু জানিয়েছেন, একাধিক তালা ভেঙে প্রায় ২৫ ভরি সোনার গয়না ও নগদ কয়েক লক্ষ হাতিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই স্বপনবাবুর প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিক মনোজ রায়ের বাড়ির দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। মনোজবাবু-সহ পরিবারের সদস্যরা নৈনিতাল ঘুরতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে মনোজবাবুর বাড়ির কেয়ারটেকার এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এই ঘটনার পরই মনোজবাবুর বাড়ির কয়েকশো মিটার দূরে তমলুক-শ্রীরামপুর রাজ্য সড়কের ধারে এক চিকিৎসকের বাড়িতে চুরির ঘটনা নজরে আসে সকলের। গৌরহরি আদক নামে ওই চিকিৎসক পরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাতে তাঁর বাড়িতে পাহারার জন্য দু’জন নৈশরক্ষী ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই চিকিৎসক বাড়িতে ফিরে দেখতে পান বাড়ির দরজার তালা ভাঙা। গৌরহরিবাবুর অভিযোগ, বেশ কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী লুঠ করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দু’দিনে একই এলাকায় তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy