ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। নিজস্ব চিত্র ।
পুরনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পুলিশের কর্তারা। বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় খেজুরি-২ ব্লকের গরানিয়া গ্রামে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাসের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী খেজুরির নীচকসবা পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। তদন্তকারিদের দাবি, একাধিক পুরনো মামলায় ওই এলাকার বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত পলাতক। এদিন তাঁরা গ্রামে ফিরেছিলেন বলে জানতে পেরে তল্লাশি চালানো হয়। সে সময় গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা, বঁটি হাতে বিক্ষোভ দেখান। এ বিষয়ে কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলছেন, ‘‘পুরনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাদের ধরতে তল্লাশি চলেছিল। স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাই অভিযুক্তদের ধরতে পারা যায়নি।’’
এ দিন বারবার বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন পুলিশ কর্তারা। যদিও উত্তেজিত গ্রামবাসী সে সব মানতে রাজি হননি। পরে খেজুরি থানা এবং হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত পুলিশ যায় সেখানে। তবে গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন। তাঁরা পুলিশকে গ্রামে ঢুকতেই দেননি। স্থানীয় মহিলাদের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরপাকড়ের নামে এলাকায় জুলুমবাজি চালাচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর। খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সমুদ্ভব দাস বলেন, ‘‘গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে এলাকার সন্ত্রাস কবলিত। বিজেপির কয়েকজন একের পর এক অপরাধ করে চলেছেন। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে গেলে আবার পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পবিত্র দাস বলেছেন, ‘‘শাসকদলের মদতে পুলিশ বিজেপি কার্যকর্তাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করার জন্য অতি সক্রিয় হয়েছে। অথচ এলাকায় সাতটি মদের ঠেকে দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের উপরে শারীরিক অত্যাচার চলছে। সে সব জেনেও পুলিশ নীরব। তাই গ্রামের মহিলারা এ দিন পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
উগরে দেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy