দিঘার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা শুনশান। নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ এখনও অবস্থান করছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। রবিবার দুপুর নাগাদ ওড়িশার উপকূলে তার আছড়ে পড়ার কথা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ ঢেকেছে মেঘে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। সঙ্গে হাওয়ার গতিবেগও রয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রবিবার এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিঘা, মন্দারমণি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের এলাকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে এখনও পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বেগে না হলেও হাওয়ার বেগ রয়েছে বেশি। তবে সতর্কতা হিসাবে দিঘার উপকূলে চলছে টহলদারি। পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ— কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না সমুদ্রের তীরে। ব্যারিকেড করে রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। দিঘা ছাড়াও নন্দকুমার, কাঁথির মতো এলাকাতেও হচ্ছে বৃষ্টি। পূর্বের মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও শনিবার সকাল থেকে হাল্কা বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মেদিনীপুরের মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা-সহ উপকূলের এলাকাগুলিতে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার অমাবস্যাও রয়েছে। যার জেরে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য ইতিমধ্যেই নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই ওই মহকুমার ২০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৮৭টি ফ্লাড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলায় পানীয় জলের প্যাকেট এবং শুকনো খাবার মজুত করা হয়েছে।
তবে রাজ্যের উপকূলের পরিস্থিতি কতটা খারাপ হবে তা নির্ভর করছে কতটা শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে ‘জওয়াদ’, তার উপর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ‘জওয়াদ’-এর শক্তি যদি কমে, সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব কমবে। তা হলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy