বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ছ’টি জেলায়। উত্তরবঙ্গের তিন জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতাতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
বুধবার সকালে রোদ উঠলেও আংশিক মেঘলা কলকাতার আকাশ। জলীয় বাষ্পের কারণে গরমে অস্বস্তি বেড়েছে। বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি।
বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। তবে উপকূলীয় এবং পশ্চিমের ছ’টি জেলায় ভারী বর্ষণের (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই জেলাগুলি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে। ওই দিন হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। শুক্রবার অর্থাৎ রথযাত্রার দিন তিন জেলায় বৃষ্টি বেশি হবে। ওই দিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি হয়েছে। এ ছাড়া, বুধ ও বৃহস্পতিবার ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর। ওই দু’দিন সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সে সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে সপ্তাহভর কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বর্ষণের (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা। মাঝে দু’দিনের জন্য বৃষ্টির দাপট কমলেও শনিবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হবে। শনিবার ও রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়াও উত্তরের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।