মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে। —নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে ইডির তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে। রথীন্দ্রকুমারের সঙ্গে ইডি দফতরে এসেছেন তাঁর বোনও। মঙ্গলবার সকালে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুরের কালীবাড়ি এলাকায় দুই সরকারি কর্মীর বাড়িতে ইডি কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসেন। একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করার মামলা দায়ের হয়েছে মুর্শিদাবাদের দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার এবং অন্য জন, মুর্শিদাবাদ জেলার মনরেগা প্রকল্পের বর্তমান নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পান। তাঁদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর বুধবার ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয় রথীন্দ্রকে। তাঁর বোনকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতার ইডি দফতরের হাজিরা দিলেন রথীন্দ্র এবং তাঁর বোন।
২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র এই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তখন রথীন্দ্র বেলডাঙা১ এর সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এগ্জ়িকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। সেই অভিযোগের তদন্ত শেষে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয় রথীন্দ্রকে। এমনটাই দাবি ইডি কর্তাদের। কিন্তু ২০২০ সালে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই তদন্ত থামিয়ে দেয় সিআইডি। এর পরেই ওই মামলা যায় ইডির কাছে। সেই সূত্রেই রথীন্দ্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
তবে রথীন্দ্রের পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত চাকরি করার সময় তিনি বেশ কিছু দুর্নীতি হতে দেখেন। সেই দুর্নীতিতে কয়েক জন পঞ্চায়েত কর্মী এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতিও যুক্ত ছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। রথীন্দ্রের দাবি, দুর্নীতির কথা তিনি লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসনকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উল্টে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে চাকরি থেকে বহিষ্কৃত করা হয় বলেও তাঁর দাবি। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় রথীন্দ্র জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি একটি চিঠিতে লিখে তিনি ইডি দফতরে এসেছেন। সেই চিঠি তিনি ইডি আধিকারিকদের হাতে তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন রথীন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy