অর্থ দফতরের প্রধান পরামর্শদাতা অমিত মিত্র। ফাইল চিত্র।
সরকারি স্তরে নিশ্চয়তা মেলায় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ‘ভবিষ্যৎ’ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থ দফতরের প্রধান পরামর্শদাতা অমিত মিত্র। শুক্রবার স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) বৈঠকের পরে এ কথা জানান তিনি।
একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, আগামী আর্থিক বছরের (২০২৩-২৪) বার্ষিক ঋণ পরিকল্পনায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে রাজ্য। ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কিসান ক্রেডিট কার্ড, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, প্রাণিসম্পদ, মৎস্যজীবী বা পড়ুয়া ঋণ কার্ডের আওতায় এই ধার দেওয়ার চেষ্টা হবে। বৃদ্ধির প্রশ্নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে তাঁর দাবি।
অমিত জানান, ১ এপ্রিল থেকে সেই ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চালু হবে। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত নিজস্ব উদ্যোগ বা ব্যবসা চালু করতে ইচ্ছুক যুবক-যুবতীরা সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন। তাতে রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ‘মার্জিন মানি’ নিশ্চিত করছে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেটে এই খাতে রাজ্য সরকার ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি, ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্ট ফর স্মল অ্যান্ড মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ়’ বাকি ৮৫%-এর নিশ্চয়তা দিচ্ছে। অমিত বলেন, “১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে এই প্রকল্পের আবেদনপত্র গ্রহণ করবে রাজ্য। সব ব্যাঙ্ক সাগ্রহে এই প্রকল্পকে মান্যতা এবং কার্যকর করার কথা দিয়েছে।”
অমিতের দাবি, চলতি আর্থিক বছরের (২০২২-২৩) তুলনায় নতুন অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) বার্ষিক ঋণ পরিকল্পনা খাতে বৃদ্ধি হচ্ছে প্রায় ১০%। এ বছর ছোট-মাঝারি শিল্পে যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রায় ৪১ লক্ষ কর্মসংস্থান হতে পারে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া গিয়েছে। অমিতের দাবি, “এতে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা বাড়াতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy