Advertisement
১৮ মে ২০২৪

জল চেয়ে হন্যে গোসাবার মানুষ

এই পরিস্থিতিতে জলকষ্টে ভুগছে গোটা গোসাবা দ্বীপ। ব্লকের সব ক’টি পঞ্চায়েত এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গাছপালা লন্ডভন্ড হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার।

প্রতীক্ষা: জলের জন্য লাইন গোসাবায়। নিজস্ব চিত্র

প্রতীক্ষা: জলের জন্য লাইন গোসাবায়। নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সাহা 
গোসাবা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮
Share: Save:

দ্বীপের নীচে ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের স্তর নেই। ফলে নদী ও খালের জল সংশোধন করেই তা পাইপ লাইনের মাধ্যমে গোটা এলাকায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এই জল পরিশোধন প্রক্রিয়া ও পাইপের মাধ্যমে তা গ্রামের অভ্যন্তরে সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে জলকষ্টে ভুগছে গোটা গোসাবা দ্বীপ। ব্লকের সব ক’টি পঞ্চায়েত এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গাছপালা লন্ডভন্ড হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার। হাজার দেড়েক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বহু ট্রান্সফর্মার বিকল। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করলেও গ্রামে কবে বিদ্যুৎ সংযোগ আসবে, তা বলা মুশকিল বলেই প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

আর এক নতুন সমস্যার দেখা দিয়েছে পানীয় জল নিয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় গোসাবা দ্বীপের রাঙাবেলিয়া, আরামপুর, পাখিরালয়, সোনাগাঁ-সহ আশপাশের এলাকার মানুষকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এক দিকে বিদ্যুতের সমস্যা, অন্য দিকে বেশ কিছু জায়গায় পাইপ লাইনে ফাটল দেখা দেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “এলাকায় বিদ্যুতের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে মানুষের পানীয় জলের যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ করা হয়েছে। জেনারেটরের মাধ্যমে সংশোধনারগুলি চালু করা হয়েছে। বড় বড় প্লাস্টিকের ড্রামে জল বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের পাউচ ও এলাকায় বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। নৌকো করে পাশের দ্বীপ থেকে প্লাস্টিকের ড্রাম, জ্যারিকেন ভর্তি করে খাওয়ার জল নিয়ে আসতে হচ্ছে মানুষকে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে জেনারেটারের মাধ্যমে জল সংশোধনাগারের যন্ত্র চালিয়ে জল শোধন করে তা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে গোসাবা জল সংশোধনাগারের সামনে থেকেই। সেই জল সংগ্রহ করতে এ দিন ভিড় লেগে গিয়েছিল বাসিন্দাদের মধ্যে। দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে কেউ বা সাইকেলে, ভ্যানে চেপে এসে সেখান থেকে জল সংগ্রহ করেছেন।

গোসবার বাসিন্দা বর্ণালী মণ্ডল, শঙ্কর দেবনাথরা বলেন, “বুলবুলের দিন থেকেই এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় জল সরবরাহ বন্ধ।’’ গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “পরিস্থতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bulbul Cyclone Bulbul Water scarcity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE