জম্মুতে পাকিস্তানের আক্রমণের পরেই ধর্মশালায় বাতিল হয় পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। হামলার খবরের পরেই মাঠের আলো নিবিয়ে দেওয়া হয়। মাঠ ছাড়তে বলা হয় দর্শককে। এর পরেই ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদিও জানায়, ধর্মশালায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় মাঠের আলো নিবিয়ে দেওয়া হয় এবং ম্যাচটি বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার খেলা বন্ধ করে দর্শককে যখন মাঠ ছাড়তে বলা হয়, সেই সময়ের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মাঠ ছাড়ার সময় নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করছেন এক চিয়ারলিডার। সেই সময় মাঠের পরিস্থিতিও তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়োতেই ওই তরুণীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘খেলার মাঝে পুরো মাঠ খালি করা হচ্ছে। খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা। বোমা পড়বে বলে সবাই চিৎকার করছে। আশা করি আইপিএলের কর্মকর্তারা আমাদের কথা ভাববেন।’’ সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। হইচই পড়েছে ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে ম্যাচে পঞ্জাব কিংস ১০.১ ওভারে ১ উইকেটে ১২২ রান করেছিল। কিন্তু হঠাৎই বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে খেলাটি তার আগেও এক বার স্থগিত করা হয়েছিল। খেলা পুনরায় শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই পাহাড়ি শহরটি অন্ধকারে ডুবে যায়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উভয় দলের খেলোয়াড় এবং দর্শকদের স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
ধর্মশালায় আরও একটি ম্যাচ ছিল। তবে সেটি আগেই অহমদাবাদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ম্যাচ সরানো হয়নি। ধর্মশালায় ম্যাচ চলাকালীন জম্মুতে আক্রমণ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে জম্মুতে। আখনুর, সাম্বার মতো জায়গায় সাইরেন বেজেছে। পাকিস্তানের দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ও পার থেকে একাধিক রকেট উড়ে আসতে দেখা গিয়েছে। এলাকা সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়।