দিল্লি শহরের এই এলাকাটির নাম সুরজকুণ্ড। কাছেই কারণী সিং শুটিং রেঞ্জ। সেখানে কোনও দিন ঢোকেননি অমিয়ভূষণ। প্রয়োজনও বোধ করেননি। দিল্লিতে এত বার এসেছেন, এই জায়গাটিও চিনতেন না কোনও দিন। কোনও এক শীতের দুপুরে সুরজকুণ্ডে এক ধনকুবের ব্যবসায়ীর ফার্মহাউসে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন পিউ আর অনীতেশের সঙ্গে। ভদ্রলোকের হার্ট বাইপাস সার্জারি করেছিল অনীতেশ। তাঁর আরোগ্য উপলক্ষে খানাপিনার আয়োজন। এ সব জায়গায় সচরাচর যান না অমিয়ভূষণ। সে দিন যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, কারণ ভদ্রলোক নিজে অনীতেশের বাড়ি এসে অমিয়ভূষণের হাত ধরে পীড়াপীড়ি করে গিয়েছিলেন। আসতেই হবে আপনাকে। এত বলার পর না গেলে তাতে অনীতেশের সম্মানহানি ঘটতে পারে ভেবে নিমরাজি হয়েছিলেন অমিয়ভূষণ। সেই পার্টি থেকে ফেরার পথেই শীতকালের পড়ন্ত বিকেলে প্রথম দেখেন আদিলাবাদ কেল্লার ধ্বংসস্তূপ। দিনান্তের ম্লান আলোয় উদ্ভাসিত তুঘলকি স্থাপত্যের নীরব, মোহময় রূপ। প্রথম দর্শনে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে এসেছিল তাঁর। তার পর এই ধ্বংসস্তূপটির আকর্ষণে বারবার এখানে ফিরে এসেছেন তিনি।
কেল্লার বিশাল প্রাচীর আর কয়েকটি গম্বুজ ছাড়া আর কিছুই প্রায় অবশিষ্ট নেই। ইট, পাথরগুলি গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ভেঙে পড়েছে বেশির ভাগ জায়গায়। যে সব জায়গায় প্রাচীরটি অক্ষত আছে, সেখানে তার হিমালয়প্রমাণ গাম্ভীর্য। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে গাছ গজিয়েছে। তার কোনও কোনও গাছ প্রমাণ আকার ধারণ করেছে বছরের পর বছর ধরে বাড়তে বাড়তে। বিশাল, নিশ্চল ধ্বংসস্তূপ। কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। চতুর্দশ শতকে কেল্লাটা তৈরি করেছিলেন মহম্মদ বিন তুঘলক। পড়ন্ত রোদে পাথরের খাঁজে খাঁজে ইতিহাসের দীর্ঘশ্বাস!
গত কাল ছিল পনেরোই অগস্ট, বুধবার। স্বাধীন ভারতবর্ষের ষাট বছর! কোনও অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে কালই তিনি কলকাতা থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। স্বাধীনতা দিবস তিনি নীরবে উদ্যাপন করেছেন তাঁর মাতৃভূমির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিব্রাজনে। ট্রেনের জানলা দিয়ে তাকিয়ে থেকেছেন অপস্রিয়মাণ গ্রাম, আন্দোলিত ধানখেত, ধু-ধু প্রান্তরের দিকে। এই তাঁর বহু সাধের, বহু সাধনার ভারতবর্ষ। আজ দিল্লিতে পৌঁছেই এখানে এসেছেন।
একটু একটু করে ধসে পড়ছে একটা বিরাট সৌধ। ঠিক তাঁর মাতৃভূমির মতো। চোখের সামনে একটু একটু করে ধূলিসাৎ হতে দেখছেন তাঁর স্বপ্নের ভারতবর্ষকে। কিন্তু ভেঙে পড়ার মধ্যেও কী বিশাল, ঐশ্বর্যময় সৌন্দর্য! চোখ বুজে ফেললেন অমিয়ভূষণ।
ভারতের থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপের মূল ভূখণ্ড। আমস্টারডামে তখন সোয়া দু’টো। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘুরে তাকাল রত্না, কিন্তু তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে।
স্কিফোল এয়ারপোর্টে রত্নার ফ্লাইট নেমেছে ঘণ্টা খানেক আগে। আজ আমস্টারডামেই থাকার কথা ছিল তার। কাল সকালে এখান থেকেই শিকাগোর প্লেন। তাই তেমন কোনও তাড়াহুড়োও ছিল না। ঘূর্ণায়মান বেল্টের সামনে দাঁড়াতেই দেখতে পেল, অন্যান্য অনেক বাক্স-প্যাঁটরার মধ্যে দুলে দুলে এগিয়ে আসছে তার লাল কালো সুটকেসটা। কাছে আসতেই অভ্যস্ত হাতে একটা হ্যাঁচকা মেরে সেটাকে টেনে নামিয়ে নিল সে। ধীরেসুস্থে ট্রলির উপর রেখে, সঙ্গের ছোট চাকা-লাগানো কেবিন ব্যাগেজটাও ট্রলিতে বসাল। তার পর এগিয়ে গেল নিষ্ক্রমণ-দরজার দিকে। স্কিফোল বিমানবন্দরটি আয়তনে বিরাট। কোথায় এসে দাঁড়িয়ে থাকবে রঘুনন্দনজির লোক, তার ঠিক নেই। বাইরে বেরোলেই ঝলমলে সব দোকানপাট। হাজার হাজার লোক। বিশেষ কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গত বারও বেশ ঝামেলা হয়েছিল। এই সব ভাবতে ভাবতে এগোচ্ছিল সে। কখন যে পিছন থেকে তিন জন নিরাপত্তাকর্মী তাকে ঘিরে ফেলেছে, খেয়াল করেনি রত্না।
“কুড ইউ কাম দিস ওয়ে প্লিজ?” প্রশ্নটির জন্য প্রস্তুত ছিল না রত্না। আবার ছিলও হয়তো! খেলাটা যে এমন করেই যে কোনও দিন হঠাৎ শেষ হয়ে যেতে পারে, এ কথা কি জানত না সে?
একটি আলাদা ঘরে নিয়ে যাওয়া হল তাকে। সে ঘরে কোনও জানলা নেই। কিন্তু একটা দেওয়ালে, হাতের নাগালের বাইরে, বেশ উঁচুতে, একটি ক্যামেরা বসানো আছে। তাকে সুটকেস খুলতে বলা হল। এই তা হলে শেষ! রঘুনন্দনজি তো বলেই দিয়েছেন, ধরা পড়লে দায়িত্ব তোমার। কেউ পাশে দাঁড়াবে না। রত্না জানে, তার সুটকেসে কতটা মাদক আছে। এ বার সে অন্যান্য বারের চেয়ে একটু কমই নিয়ে এসেছে। এ কথাও এক বার মনে হল তার, ধরা পড়লে আমস্টারডামেই পড়া মন্দের ভাল। হল্যান্ডে মাদক সংক্রান্ত আইন অপেক্ষাকৃত শিথিল। ঝুঁকে পড়ে সুটকেসের তালায় চাবি লাগানোর সময় রত্নার চোখের সামনে ভেসে উঠল পর পর অনেকগুলো মুখ। মা-বাবার, গুবলুর, পল্টনের, বুলাকিদা’র মুখ।
গত কাল পর্যন্ত পল্টনের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও বুলাকিদার মৃতদেহ বার করা যায়নি। দেশে কাল ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। রত্নার মনে পড়ল, আজ ভারতের একষট্টি বছরের স্বাধীন অস্তিত্বের প্রথম দিন। জীবনে এতটা পথ পার হয়ে, বিদেশ-বিভুঁইয়ে একটি ঝকঝকে এয়ারপোর্টের এক কোনায় কি আজ তার স্বাধীনতা শেষ হতে চলেছে?
ঠিক সেই মুহূর্তে চিত্তরঞ্জন স্টেশনের জিআরপি থানায় শ্যামল দত্তের দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন অলকেশ। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে মিটে যাওয়ায় তিনি আবার পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। অনুষ্ঠানের বাজেট থেকে ঠিক কত টাকা সরিয়েছে শ্যামল, সেটা তাঁর জানা দরকার! শ্যামল যদি ভেবে থাকে পুরোটা সে একাই খাবে, তা হলে তাকে মোহমুক্ত করার সময় এসেছে এ বার।
অন্য দিকটা তো দারুণ ভাবে সামাল দিয়েছেন তিনি। হিজড়েটার ডেডবডি হাপিশ হয়ে গেছে। এ বার করুক কে কী অনুসন্ধান করবে। হিজড়েদের নাকি কোথাও দাহ হয় না, দাফন হয় না। এটা অবশ্য তাঁর শোনা কথা। তাঁর সমাধান সহজ। আজ অত্যন্ত গোপনে তাঁর অনুগত পুলিশকর্মী শিউলাল একটা রামদা দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে মৃতদেহ। তার পর একটা সাধারণ প্লাস্টিক ব্যাগে পুরে, অস্থি-মাংসের টুকরোগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে গেছে। কাজ শেষ হলে ওকে ভাল বখশিস দেবেন অলকেশ। এখন শ্যামলের সঙ্গে বোঝাপড়াটা সারা দরকার।
“হিসেব মিলছে না, শ্যামল,” কড়া গলায় বললেন অলকেশ।
লন্ডনে তখন ঝকঝকে দিন। ঠিক সেই মুহূর্তে রীতেশ শর্মা লন্ডনের অল্ডউইচ এলাকায় ভারতীয় দূতাবাসের দোতলায় তাঁর অফিস থেকে দিল্লিতে এক জন ঊর্দ্ধতন অফিসারের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
“কনগ্র্যাচুলেশন্স, শর্মা। তোমার দেওয়া তথ্য যথারীতি নিখুঁত। আমরা ইনভেস্টিগেশন শুরু করেছি। সাউথে অনেকগুলো স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন উদ্ধার করা গেছে। মুম্বই, কলকাতায় তদন্ত শুরু হয়েছে। বড়সাহেব তোমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ!”
রীতেশের বাঁ হাত টাইয়ের নটে চলে গেল। আত্মশ্লাঘা অনুভব করলেই টাইয়ের নটে হাত বোলান রীতেশ শর্মা।
কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিট থেকে এঁকেবেঁকে বেরিয়ে যাওয়া একটি গলির মুখের বাড়িতে তখন সন্ধে আসছে যথানিয়মে। বেশ কয়েকটি ঘরের দরজা বন্ধ। এ রকমই একটি বন্ধ দরজার পিছনে, তুলসী কাছে টেনে নিল গৌরাঙ্গকে।
ঠিক সেই মুহূর্তে শিউলিবাড়িতে ঠাকুরের আসনে সন্ধ্যারতি সাজাচ্ছেন আর নিজের মনে বিড়বিড় করছেন গৌরাঙ্গর বৃদ্ধা মা। ছাদের সিঁড়ির প্রায়ান্ধকার কোনায় তখন অলকার স্তনে হাত রেখেছে পাশের বাড়ির বিল্টু।
ঠিক তখন মনের জগৎ মনস্তাত্ত্বিক কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে পাখিদের দিনশেষের কলতান মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করছিল শঙ্কর। কাল তো এখানেই ধুমধাম করে তার দাদার বিয়ে হয়ে গেল! কত গান হল, বাজনা হল, পতাকা তুললেন বড়সাহেব নিজে! অনেকে আবার বক্তৃতাও দিল। ওই বিয়েটার নাম নাকি স্বাধীনতা দিবস। সুকুমার মল্লিককে গেটের দিকে যেতে দেখে পিছন থেকে ডাকল শঙ্কর।
“ও সুকুমারদা, শোনো শোনো।”
“কী?”
“পাখিদের স্বাধীনতা দিবস কবে গো?”
ঠিক সেই সময় চিত্তরঞ্জন স্টেশনের ঠিক বাইরে নিজের জায়গাটাতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ফিরে এল হরিমতি। এতটা রাস্তা আসতে তার সময় লাগল। জেলে ভরার সময় ভ্যানে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ফেরার সময় তো আর গাড়ি দেবে না! এই সব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে যেখানে বসে সে রোজ ভিক্ষা করে, সেখানে এসে হাঁউমাউ করে কেঁদে উঠল হরিমতি। হারুদা তো ঠিকই বলেছিল। ছোট্ট দু’টো হাঁটু জড়ো করে তার উপর মাথাটা রেখে চুপটি করে বসে আছে কেঁদো। সামনে ভিক্ষার বাটিটা!
আর ঠিক সেই মুহূর্তে বরাকর নদীর ধারে একরাশ মনখারাপ নিয়ে এলোমেলো ঘুরে বেড়াচ্ছিল বুধুয়া। বাবা নাকি পরশু দিন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যাবে! বড়মামাকে নাকি সেই রকমই খবর পাঠিয়েছে বাবা। দু’দিন আগে নিয়ে গেলে কী হত? ইস্কুলে স্বাধীনতা দিবসের কত বড় ফাংশন হল! বুধুয়া যেতে পারল না। হেডস্যরও তো খবর পাঠালেন না কোনও! অথচ বলেছিলেন, বুধুয়াকে তাঁর চাই ওই দিন। বড়রা সব ওই রকমই।
বরাকর নদীর উপর শিরশির করে হাওয়া দিচ্ছে। দূরের বাঁধটার উপর জমাট-বাঁধা অন্ধকার নামছে একটু একটু করে। এখনই বাঁধের দিকটার বড় বড় লাইটগুলো জ্বলে উঠবে। আকাশে কী সুন্দর একটা লাল মেঘ মাখামাখি হয়ে আছে। চারদিকে কেমন মনখারাপ করা আলো। মন তো খারাপই বুধুয়ার। খুব খারাপ। কাল তো লুকিয়ে লুকিয়ে কত কেঁদেছে সে। কেউ দেখেনি অবশ্য। কাল মামার ছুটি ছিল। মামা বরাকরের মাঠে স্বাধীনতার কুচকাওয়াজ দেখতে নিয়ে যেতে চাইলেও যায়নি বুধুয়া। কী হবে দেখে? সারা দিন মামি কত বার টিভি দেখতে ডাকল। দেখেনি বুধুয়া। তার ভাল লাগছিল না। কিন্তু সন্ধে ছ’টা না সাত’টার সময় মামি জোরে রেডিয়ো চালিয়েছিল, কলকাতা ‘ক’। খাটে শুয়ে শুয়েই সেটা শুনছিল বুধুয়া। একটা লোক কী সুন্দর একটা কবিতা বলল। বলল, কবিতাটা নাকি বাংলাদেশের একজন কবির। বাংলাদেশ কোথায়? নাম বাংলাদেশ বলেই বোধহয় সেখানকার লোকেরাও বাংলা বলে। কবিতাটা স্বাধীনতা নিয়ে। এত ভাল লাগছিল বুধুয়ার, সে শুনতে শুনতেই কয়েকটা লাইন মনে রাখার চেষ্টা করছিল। শুরুর দু’টো শব্দ বারে বারে ফিরে আসছিল কবিতাটায়, “স্বাধীনতা তুমি...”
তার পর কী যেন?
এলোমেলো ভাবতে ভাবতে নদীর ধারে চলে এসেছে বুধুয়া। অন্ধকার হয়ে আসছে। এ বার বাড়ি ফিরতে হবে, না হলে মামি আবার চিন্তা করবে। বাড়ির দিকে ঘুরতে গিয়েও থমকে গেল সে। একটা লোক! অন্ধকার হয়ে আসছে বলে আগে দেখতে পায়নি লোকটাকে। লোকটা নদীর জলে নেমে পড়েছে। তার হাঁটু সমান জল। একটা প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে কী যেন বার করে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে লোকটা। ও মা! কিছুর একটা মাংস-টাংস বোধহয়! ভাসিয়ে দিচ্ছে কেন? লোকটার আশেপাশে নদীর জলটা টকটকে লাল হয়ে উঠছে। কী করছে লোকটা? অন্ধকার নামছে জলের উপর। লাল রংটা জলের উপর ছড়িয়ে পড়ে একটু একটু করে অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে।
লোকটা বুধুয়াকে দেখছে না। একমনে ব্যাগ থেকে টুকরো টুকরো মাংস জলে ভাসিয়ে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে দূরে, মাঝনদীতেও ছুড়ে ছুড়ে ফেলছে টুকরোগুলো। লোকটাকে দেখতে দেখতে বুধুয়ার চিন্তাগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন সেই ট্রেনের বুড়োটার কথা মনে পড়েনি। এখন আবার মনে পড়ছে হঠাৎ। স্বাধীনতার মুখ দেখাও তো তার আর হল না। যেতেই তো পারল না ইস্কুলে! কী যেন কালকের কবিতার লাইনটা? কিছুতেই মনে পড়ছে না! শুধু দু’টো শব্দই নিজের মনে বলে চলেছে বুধুয়া, “স্বাধীনতা তুমি... স্বাধীনতা তুমি... স্বাধীনতা...”
সমাপ্ত
আগামী সপ্তাহে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস: অচেনা স্রোত *** কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
এক নতুন আবাসনে থাকতে এসে প্রিয়তোষ রবিবারের সকালগুলোর এক অন্য মাত্রা খুঁজে পান। নিউটাউনের এলিফ্যান্টা হাউজিং সোসাইটির তিনটে টাওয়ারকে ঘিরে এক-একটা রবিবারের সকালকে গেঁথে বয়ে যায় এই উপন্যাসের ঘটনাস্রোত। যেখানে প্রিয়তোষ লেখক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন, অপেক্ষায় থাকেন পাঠিকা কস্তুরীর ফোনের, যে স্বপ্ন দেখে কোনও এক রবিবারের সকালে কাগজে প্রকাশিত হবে তার গল্প। রবিবারের সকালে গিটার শেখার ক্লাসে রৌনক আর হৃষিতা নানান গানের মাঝে খুঁজে চলে নতুন জীবন, টিটান আর টুইটির মধ্যে অঙ্কুরিত হয় কিশোর প্রেম। নীহার সরখেল, সোমনাথ বিশ্বাস, সৌমিত্র দত্তরা মিটিং করে যান আবাসিক রাজনীতি নিয়ে। এ সব নিয়েই মুড়িয়ে যায় এক-একটা রবিবারের সকাল, জন্ম দিয়ে যায় পরের রবিবারের সাপ্তাহিক প্রতীক্ষার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy