Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রকবাস্টার তনিশ্ক

পাঁচ ঘণ্টা ঘুমোন তিনি। মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাড়ির নীচেই স্টুডিয়ো। সেখানে রোজ মা এসে খাইয়ে দিয়ে যান। তনিশ্ক বাগচী। গান ছাড়া আর কোনও কিছুর জন্য সময় নেই তাঁর।

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০০:১২
Share: Save:

পাঁচ ঘণ্টা ঘুমোন তিনি। মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাড়ির নীচেই স্টুডিয়ো। সেখানে রোজ মা এসে খাইয়ে দিয়ে যান। তনিশ্ক বাগচী। গান ছাড়া আর কোনও কিছুর জন্য সময় নেই তাঁর। থাকবেই বা কী করে? চার্টবাস্টারের প্রথম চারটে গানই এখন তাঁর। ২০১৫ সালে ‘তনু ওয়েডস মনু’ ছবির ‘বন্‌নো’ দিয়ে শুরু। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘কপূর অ্যান্ড সন্‌স’-এ ‘বোলনা’। ‘সর্বজিৎ’-এ ‘রব্বা’। আর এখন ‘বদ্রীনাথ কী দুলহনিয়া’-য় ‘তমমা তমমা’।

‘‘গান সুপারহিট হলেই চাপ! মানুষের এক্সপেকটেশন বাড়ছে। আমি একেবারে হাই-হাই… ফ্লাই করছি,’’ মজা করে মুম্বই থেকে ফোনে বললেন তনিশ্ক। সদ্যই ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ ছবিতে তাঁর কাজ শুনে টুইট করেছেন চেতন ভগত।

কিন্তু ‘হমমা হমমা’ থেকে ‘চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত’ সবই তো পুরনো গান? ‘‘পুরনো গান যদি ছবি ডিমান্ড করে, তা হলে কিছু করার নেই। আর আমার ‘হমমা’ শুনে রহমানসাব তো খুশি হয়ে বলেছিলেন এটা ট্রিবিউট। অবশ্য রেমো স্যারের এটা ভাল লাগেনি। গানটা তো আসলে ওঁরই। উনি সমালোচনা করতেই পারেন,’’ সোজাসাপটা তনিশ্ক। ১৫ বছর আগে কলকাতা ছেড়েছেন, তাই বাংলা ভাষাতে তেমন সড়গড় নন। যদিও পুরনো গানের প্রসঙ্গ টানতেই গেয়ে উঠলেন তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত, ‘হারে রে রে রে রে...’

রিদমের গানে মেলোডি নেই শুনে বেশ চটে গিয়ে জানালেন, ছন্দই গান তৈরি করে। বিশ্বাস করেন ইন্ডাস্ট্রিতে অটো টিউনের গান যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে অরিজিৎ সিংহ। কিশোরকুমারের পর এ রকম ‘গড গিফ্টেড’ ভয়েস আর আসেনি বলে ধারণা তাঁর। হলিউডের মতো গানের ব্যাঙ্ক করে তিনি প্রোডিউসারদের পিচ করেন। ‘‘আমার কাছে ভাল গান আছে! এটা বলতে লজ্জা কী!’’ ছবির কথা ভেবে গান তৈরি করবেন না বললেন। যদিও শাহরুখ আর সলমনের জন্য গান লিখবেন, শুধু ওঁদের কথা ভেবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Tanishk Bagchi Composer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE