শুনলাম, আজকাল নাকি আপনাকে প্রায়ই বিভিন্ন কিডস্টোরে দেখা যাচ্ছে বাচ্চাদের পোশাক কিনতে?
(হেসে) কই না তো।
কী বলছেন! করিনা কপূর প্রেগন্যান্ট। আপনি তো পিসি হচ্ছেন...
হ্যাঁ। অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন এ বিষয়ে। (একটু থেমে) প্রশ্নটা শুনে প্রথমে একটু অবাক হয়েছিলাম, তবে এখন বুঝেছি সবার কেন এত কৌতূহল। আরে ভাই, করিনা মা হচ্ছে বলে কথা!
এক্সসাইটেড?
(হেসে) ইয়েস, আমি ভীষণ এক্সসাইটেড। পিসি হচ্ছি, এটা একটা দারুণ ব্যাপার। আমি সেফ-করিনার জন্য খুব খুশি। যদিও সেফ আগেও বাবা হয়েছে, কিন্তু করিনার জন্য তো এটা স্পেশাল মোমেন্ট। আজকাল খুব হাসি-খুশি থাকে সব সময়।
এখন থেকেই নাকি বেবির নাম ঠিক হয়ে গেছে...
না, না। দেখুন, সেফ-করিনার মতো কাপল বলিউডে খুব কম আছে, এবং এই আনন্দের মুহূর্তে, ওদের পাশে থাকাটা খুব জরুরি। এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের কেরিয়ার সামলে ফ্যামিলিকে সময় দেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু ওরা দু’জন প্রমাণ করেছে যে, নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস থাকলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। আর একটা কথা না বলে পারছি না...
কী ?
করিনাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। ও অনেকটা আমার মায়ের মতো। প্রেগন্যান্সির সময়েও ও নিয়মিত শ্যুটিং করছে যাতে ওর জন্য কোনও ছবির কাজ আটকে না যায়। এটা খুব বড় ব্যাপার। অনেক কিছু লেখা হচ্ছে আজকাল ওর প্রেগন্যান্সি নিয়ে। তবে সেফ সব সময় ওর পাশে আছে। আজকাল পুরো পাল্টে গেছে আমার দাদা। (একটু হেসে) তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছে, পার্টি করা কমিয়ে দিয়েছে। বাড়ির সবাই ওর বাবা হওয়া নিয়ে খুব আনন্দিত। আর শুনুন, বেবির জন্য ওর বুয়াও ওয়েট করে আছে। তবে একজনকে আমরা সবাই খুব মিস করছি এই সময়।
কাকে?
আব্বা। মনসুর আলি খান পটৌডি। আজ উনি বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। (একটু থেমে) দেখতে দেখতে পাঁচ বছর হয়ে গেল, আব্বা নেই!
এখনও মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের মধ্যেই আছেন। আসলে,জীবনের সব চেয়ে ছোট সমস্যাটাও যিনি এক মুহূর্তে সল্ভ করতে পারতেন তাঁর নামই যে মনসুর আলি খান পটৌডি। মায়ের কাছে যে কথাগুলো বলা যেত না, সেগুলোও আব্বাকে বলতে পারতাম। এই পাঁচ বছর মা আমাদের আগলে রেখেছে, কিন্তু উই অল মিস আব্বা। মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি... (একটু থেমে) যাক গে,বাদ দিন!
বলুন না, মাঝে মাঝে কী মনে হয়?
কখনও কখনও ভাবি যে আব্বা বেঁচে থাকলে হয়ত জীবনটা আরেকটু অন্যভাবে চলতে পারত। কারণ, প্রতিটা স্টেপ নেওয়ার আগে যাঁর কাছ থেকে সবচেয়ে মূল্যবান সাজেশনগুলো আসত,সেই মানুষটাই যে আর নেই। আসলে, উনি তো শুধু আমার আব্বা ছিলেন না, সবচেয়ে বড় শিক্ষক আর মেন্টরও ছিলেন। যখন বাড়িতে একা থাকি, মনে হয়, এই বুঝি আব্বা এসে বলবেন, ‘‘দ্যাট ওয়াজ এ রং মুভ, সোহা।’’ স্রেফ দু’টো কথা, কিন্তু তার কী ভীষণ ইমপ্যাক্ট...
এই পাঁচ বছরে কোনও ‘রং মুভ’?
লাকিলি সেটা হয়নি। এবং, তার পুরো কৃতিত্বটাই মায়ের। আব্বা মারা যাওয়ার পর থেকে, মা-ই আমাদের গাইড। এখন জানি কী করে মা আর আব্বা এতগুলো বছর কাটিয়েছিল। আসলে, একে অপরের গাইড ছিল ওরা। কিছু সিদ্ধান্ত মা নিত, কিছু আব্বা। আজকাল এই বন্ডিং ভাবাই যায় না। একটু অন্য কথা বলি?
আচ্ছা, কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটা খবর পড়লাম। আপনার স্বামী কুনাল খেমু নাকি বাবা হচ্ছেন...
(প্রচণ্ড হেসে) তাই? আমিও শুনেছি জানেন। তবে, আমি কিন্তু এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনার আর কিছু প্রশ্ন আছে?
আপনার নতুন ছবি ‘থার্টি ফার্স্ট অক্টোবর’ নিয়ে উৎসাহ থাকলেও ছবি বক্স অফিসে তেমন চলেনি। শোনা যাচ্ছে আপনি নাকি এ বার সেফের সঙ্গে ছবি প্রযোজনা করছেন?
ও গড! না, না। সেফের সঙ্গে আমি এই ব্যাপারে কথাই বলিনি। হ্যাঁ, একটা ছবি প্রযোজনা করছি। কুনাল থাকবে। তবে সেফ নেই। আব্বা সব সময় বলতেন, পার্সোনাল লাইফ আর প্রফেশনাল লাইফ যেন কখনও না মেলে। এতে নাকি সমস্যা বাড়ে। আমরা সেই কথাটাই মেনে এসেছি। সেফ আমার কোনও ছবির প্রিমিয়ারে আসে না। বাড়িতে দেখে ছবিগুলো, আবার কখনও দেখেও না। আমি জানি, ও সব সময় আমার পাশে আছে।
বলিউডে আপনার প্রিয় অভিনেত্রী কারা?
কঙ্গনা রানাওয়াত, দীপিকা পাড়ুকোন। আমার কাছে প্রিয় অভিনেত্রীর সংজ্ঞাটা একটু আলাদা। যে সমস্ত মহিলা নিজেদের কেরিয়ার ও ফ্যামিলিকে সমানভাবে ব্যালান্স করেছে, তারাই আমার কাছে প্রিয়। এটা মাকে দেখে শিখেছি। আর একটা মজার কথা বলি?
হ্যাঁ, বলুন...
আমার মনে হয় ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে সুন্দরী মহিলার নাম দীপিকা পাড়ুকোন, যদিও আমি এখনকার অনেক অভিনেত্রীকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আর শুনুন, আমি মনে করি শুধু দেখতে ভাল হলেই কেউ সুন্দরী হয় না, ইউ হ্যাভ টু বি এ গুড পার্সন টু। আর সেই জন্যই, বলিউডের সবচেয়ে সুন্দরীর নাম দীপিকা।
শর্মিলা ঠাকুর নন?
(প্রচণ্ড হেসে) মায়ের নাম বললে তো লোকে ভাববে, ইস মেয়েটা কী বোরিং! মা নিজের সময়ের সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রী। সত্তরের দশকে মায়ের যা অ্যাপিল ছিল, সেটা আজকাল ভাবা যায় না। ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’য়ে ‘জুবি জুবি’ গানটা শুনলে আমার এখনও মায়ের মুখটাই মনে পড়ে। কিন্তু সময়টা তো অনেক পাল্টেছে, আর মা-ও ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তাই,এই মুহূর্তে দীপিকাই সবচেয়ে সুন্দরী। তবে হ্যাঁ, আই অলসো লাইক করিনা।
আর প্রিয় পুরুষ?
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি আমার পছন্দের মানুষ। ইরফান খানও। লিস্টে কুনাল খেমু আর সেফও আছে। (একটু হেসে) তবে সেফের সামনে এ বার বড় চ্যালেঞ্জ। আবার বাবা হচ্ছে এটা নিয়ে ও খুব এক্সসাইটেড!
সম্পর্ক ভাঙল কমলের
দীর্ঘ তেরো বছর তাঁরা ছিলেন ‘এক দুজে কে লিয়ে’। কিন্তু দিওয়ালির রেশ কাটতে না কাটতেই সেই সম্পর্কে দাঁড়ি টানলেন কমল হাসন এবং গৌতমী তদ্দিমালা। মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে গৌতমী জানিয়ে দেন যে, কমলের সঙ্গে আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব হচ্ছে না তাঁর। ‘‘এটা আমার কাছেও খুব দুঃখের একটি দিন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটা আমাকে নিতেই হতো। আমি কাউকে দোষী করতে চাই না,’’ বলছেন গৌতমী। ২০০৪য়ে সারিকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর গৌতমীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন কমল। যদিও তখন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তা মানতে রাজি হননি কেউই। ‘‘আমি কমলের ফ্যান। কিন্তু, কিছু দিন আগে মনে হল, ওর জীবন থেকে সরে যাওয়ার সময় এসেছে,’’ বলছেন গৌতমী।
আনন্দplus প্রতিনিধি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy