গত বছর সেরা কোরিওগ্রাফারের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন রেমো ডি’সুজা। স়ঞ্জয় লীলা ভংসালীর ‘বাজিরাও মস্তানি’র জন্য। তবে জাতীয় পুরস্কার একটুও বদলাতে পারেনি তাঁকে। বলছিলেন, ‘‘খবরটা শুনে চার্নি রোডে যাঁদের বাড়িতে থাকতাম তাঁদের ফোন করেছিলাম। বম্বে এসে প্রথমে ওঁদের বাড়িতে উঠি।’’ সে সময় ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা ছিল না তাঁর। রেমোর অবস্থা দেখে তাঁরাও চাননি। ‘‘ওই সাহায্যটা না পেলে জাতীয় পুরস্কার তো দূর অস্ত, বলিউডেই আসা হতো না।’’
তাঁর বলিউডে প্রবেশও স্বপ্নের মতো। নাচের কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। মুম্বইয়ে কাউকে চিনতেনও না। শুধু হিন্দি ছবিতে নাচার স্বপ্ন নিয়ে কেটে ফেলেছিলেন জামনগর টু মুম্বইয়ের টিকিট। ‘‘অনেক রাত স্টেশনে কাটিয়েছি না খেয়ে,’’ বলেন রেমো। প্রথম অডিশন দিয়েছিলেন রামগোপাল বর্মার ‘রঙ্গিলা’য়। ‘‘কোরিওগ্রাফার আহমেদ খান আমার কালো চেহারা দেখেই বাদ দিয়ে দিল। ওর অ্যাসিস্ট্যান্ট আমায় চিনত। কোনও মতে অডিশনে পৌঁছলাম। বললাম না, মুম্বই ট্যালেন্ট চেনে। চান্স পেয়ে গেলাম ‘হো জা রঙ্গিলা রে’ গানটায়।’’
বড় ব্রেক সোনু নিগমের একটা গানের ভিডিয়ো অ্যালবামে কোরিওগ্রাফার হিসেবে। সেটা হিট হওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে কোরিওগ্রাফার হিসেবে। একশোর উপর ছবিতে নায়ক-নায়িকারা নেচেছেন রেমোর ছন্দে। খুঁতখুতে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভংশালী থেকে অভিনেতা হৃতিক, সকলের পছন্দের তালিকাতেই তিনি। আর চারটে ছবিতে পরিচালনাও হয়ে গেল তাঁর।
আরও পড়ুন:দেব মহিমা
তবে চমক পঞ্চমটায়। সেখানে নায়কের নাম সলমন খান। ‘‘সলমনের ছবিতে কোরিওগ্রাফি তো আগেও করেছি, তবে এটার এক্সাইটমেন্টটাই আলাদা!’’ জানান রেমো। এ ছবি হার্ডকোর নাচের উপর ভিত্তি করে। অন্য কোনও অভিনেতা না হয়ে সলমন, কারণ ‘‘সল্লুভাই যে কোনও স্টেপ সহজেই রপ্ত করে নিতে পারে।’’ নায়িকা অবশ্য ঠিক হয়নি। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের গুজব উড়িয়ে দিলেন।
এখন অবশ্য ব্যস্ত ডান্স প্লাস রিয়্যালিটি শোয়ের জাজ হিসেবে। বলা হয়, রিয়্যালিটি শো থেকে কোনও স্টার পাওয়া যায় না, সে কথা মানতে নারাজ রেমো। ‘‘স্টার হওয়াটা অনেকটাই ভাগ্যের। এতবড় একটা প্ল্যাটফর্মটাই বা কম কী! সেটা ক’জন পায়?’’ বলেন রেমো।
তিনি এই সুযোগটা পাননি। অনেক পরিশ্রম করে সাফল্যের রাস্তা দেখেছেন। নিজের স্ট্রাগলিং সময়ের কথা মাথায় রেখে তাই নিজের ছবিতে নেন রিয়্যালিটি শোয়ের অংশগ্রহণকারীদের। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরেও রেমো ডি’সুজার পা মাটিতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy